আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিম সংগ্রহে প্রদত্ত তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ

জীবন এর গল্প অােছ বািক অল্প

ঈনুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক ঢাকা, অগাস্ট ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মোবাইল টেলিফোনের সিম ও রিম সংগ্রহের সময় প্রদত্ত তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। মোবাইল ফোনে হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, ভুয়া ঠিকানায় ফোনের সংযোগ নিবন্ধন করার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগোযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকল্পসহ অন্তত দশটি সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মকৌশল বিষয়ে বৈঠক করেছে। মোবাইল টেলিফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলা লিংক, সিটিসেল, ওয়ারিদ টেলিকম-এর প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত চাইলে তা দেওয়া যাবে। রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে দরকার হলে ইসি তা সমন্বয় করবে। " তবে কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার-এর কার্যক্রম চূড়ান্ত না হওয়ায় পুরো যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি বলে জানান তিনি। কমিশন সভায় এ বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের কাছে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার আবেদন করতে পারবে এবং চাওয়া তথ্য-উপাত্ত কমিশনের ভিন্নরূপ বিবেচিত না হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সরবরাহ করতে পারবে।

ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকল্প দেশের ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি প্রায় সাড়ে আট কোটি ভোটারের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করেছে। বিটিআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৯ লাখ আট হাজার। মোবাইল ফোনে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণারোপ করতে চায় সরকার। এ বিষয়ে গত মাসে মোবাইল ফোনে হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, ১৮ বছর বয়স না হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে অভিভাবকের সিম ব্যবহার করা যাবে।

" ভূয়া নাম-ঠিকানায় নিবন্ধন করে চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে চানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, "ভুয়া নাম-পরিচয়ে নিবন্ধিত সিমের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মোবাইল ফোন কোম্পানি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা 'সিম-রিম সংগ্রহের সময় প্রদত্ত তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে যাচাই করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করে। সাধারণত নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি) নম্বর ও ফিঙ্গার প্রিন্ট-এই চারটি অনুষঙ্গ যাচাই করাই যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইসি সচিবালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারে রক্ষিত প্রয়োজনীয় তথ্য এখন ব্যবহার করা যাবে অফ-লাইনে। কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারের কার্যক্রম চূড়ান্ত হওয়ার পর অন-লাইনে তা ব্যবহার করতে পারবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

" যাচাই পদ্ধতির বিষয়ে তিনি জানান, তথ্য যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি যাচাই কেন্দ্রে একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, একটি সফটওয়্যার, বার কোড রিডার ও ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার লাগবে। কোনো সিম-রিম ব্যবহারকারী ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করছে কিনা তা যাচাইয়ে ইসির কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারের তথ্য-উপাত্ত (অফ লাইনে) নিয়ে সংস্থাগুলোই নিজেরা ব্যবহার করতে পারে। কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার চূড়ান্ত হলে ভোটার তালিকা প্রকল্পের কাছে তথ্য চাওয়া মাত্র (অনলাইনে) তা যাচাই করে দেওয়া যাবে যে, সিম ব্যবহারকারী সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করছে কিনা। "সিম-রিম ব্যবহারকারীর তথ্য যাচাইয়ের পরই তা সচল করার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিলে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার রোধ হবে। চিহ্নিত থাকলে ফোন অপব্যবহার করে কেউ হুমকি ও চাঁদাবাজির সুযোগ পাবে না" বলেন এই কর্মকর্তা।

আগামী বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার অন লাইনে পুরোপুরি কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়ে ভোটার তালিকা প্রকল্পের কর্মকর্তারা। মোবাইল ফোনে হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, "এ লক্ষ্যে সিম গ্রাহক নিবন্ধন নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। " গত ৭ জুলাই এক সভায় দেশের মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোবাইল সিম পরিবেশক (ডিস্ট্রিবিউটর) ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা বাংলাদেশ টেলিযোগোযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/কেএমএস/১০৪৭ ঘ. View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।