গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।
লেখাটা মোনাজাতউদ্দিন এর রচনাসমগ্র থেকে নেয়া।
কে বলে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির একটি গ্রামের গাঁটুয়া চোরের বেলায় এই প্রবাদ খাটেনা। গাঁটুয়া চোরের জবানীতে মনে হলো পরিস্থিতি তাকে চুরি করতে বাধ্য করলেও সে মেনে চলে অনেক নিয়ম নীতি।
গাঁটুয়া চোরের নিয়ম নীতির মধ্যে যা যা রয়েছে তা হলো
সে নিজের গ্রামে কখনও চুরি করতে নামেনা। চলে যায় দূরে কোথাও। অন্য থানায়। শুনে অবাক হয়ে গেলাম যে, নিজের পাড়ার মসজিদে শুক্রুবারে সে নামাজ পড়তে যায় এবং ঐদিন রাতে নাকি কাজে বেরোয় না। কাজ করেনা সে রোজার মাসে, শবে বরাতে, ঈদের দিনে।
নানা রকম কুসংস্কার পালন করলেও কাজে বেরোরোন আগে সে দোয়া পড়ে। তার সংস্কারগুলোর মধ্যে একটি হলো -- যে রাতে কাজে যায় স্ত্রীর চুলের বেণী কিংবা খোঁপা খুলে দেয় নিজ হাতে। ধারণা-এতে করে গৃহস্থ কিংবা পুলিশের হাতে ধরা পড়বে না সে। ঘর থেকে বেরোনোর আগে বিড়ালকে সে স্মরণে আনে। বলে 'বিলাই তোর পাঁও ধরো।
' অর্থাৎ বিড়াল তোর পায়ে ধরি। গাঁটুয়ার ধারণা এমনটি করলে সে যদি গৃহস্থের হাতে ধরাও পড়ে, কিলও খায়, তবুও সে কিল গায়ে লাগবে না। বিড়ালের শরীর নারম। মারলে নাকি আঘাত পায়না। গাঁটুয়া তাই ঘর থেকে বের হবার আগে বিড়ালকে কর্পনায় আনে।
অনেক ফুটবলার যেমন মাঠে নামবার আগে মাটি ছুঁয়ে কপালে ঠেকায়। তেমনি গাঁটুয়া তার ঘরের দরজার চৌকাঠ সালাম করে রাতের বেলা কাজে বেরোনোর আগে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।