আমার বহুরূপী পশু, তুই চামড়ার মুখোশ ছড়িয়ে তার ভেতরে
ছিটিয়ে দে সমুদ্রহীন লবণ – তোর নোনতা নিঃশ্বাষ ।
রাতের গরম দেহের ভেতর জ্বালিয়ে দে তোর পৌরানিক আগুন,
জঙ্ঘায় জঙ্ঘায় ঘষা লেগে নেচে উঠুক দাবানল
আজ এই অরণ্য পোড়ানোর সময়।
চুমুতে চুমুতে আগ্নেয়গিরি ফুসলে উঠুক দারূণ পশুরতির লাভায়,
পাশবিক আনন্দে গর্ভে ফোটা অজস্র জারজ ফুল
না, পৃথিবীর কাছে সে ফুল কোন ভুল নয়
আজ পৃথিবীর যৌনতার জটপাকানো বাঁকে
লাগুক পাশবিক এক মোচড় ।
ভুলে যা পশু কার সাথে তোর কি কথা ছিল
কার সাথে কোন রঙের মিলে তোর রঙ বাধা আছে
কোথায় তোর চোখের ভেতর
কার চোখের প্রতিবিম্ব জাগাবে আগামীকালের সুর্যের ক্ষত,
আমার বহুরূপী পশু তুই ভুলে যা
তোর নিজস্ব কেশর আর কব্জা করে রাখা ধানীজমির মত যোনী,
ঢুকে যা তোর সব অচেনা আর আগুন্তুক গুহার আঁধারে
আজ আকাশের নাম হোক আগুনের নদী ,
দেহের উন্মত্ত ঢেঊয়ের শীকাৎর।
অবাধ , বল্গাহারা, খাপছাড়া অজাচার ,
ভেঙ্গে পড়া মানবতাগামী সিঁড়ি
আর চীনের প্রাচীরের মহিমাময় গাঁথা।
পশু, তুই একঢোকে গিলে ফেল
বনের সব সুষমা মণ্ডিত বাধা, গেঁথে থাকার পার্থিব রীতি
সবুজ মদে তোর হৃৎপিণ্ডে জ্বলে উঠুক ড্রাগন আগুন।
মানুষরূপী পশুরা জেনে যাক তোর আনন্দ শীকাৎরে
"পশুকে ভুলে থেকে মানুষ হওয়া যায় না
বিভৎস নীরবতায় আর সংযমে"
মানুষরূপী পশুদের আজ মিটে যাক
ক্ষণিক, ভঙ্গুর,আচমকা, আগামাথাহীন ,অযাচিত কামনা –বাসনা চিৎকার'
সব মিটে যাক বণ্য আদরে , হিংস্রতার রংধনু রঙ্গে আর আর সুর্যের আগুনে
তারপর বলবো " এখন অরন্যের রঙ পশুর ইচ্ছার রং-এ সবুজ
আর আর পশুদের জন্য
এই সেই স্বপ্নের চারনভুমি
যার স্বপ্নে পশুদের পুর্ববংশের মরা কেশরে একদিন মানুষ নামক এক পোকা অনেক উপদ্রব করেছিল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।