যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ইউনাইটেডের লবিতে একটা চেয়ারে বসে কাহাতক আর থাকা যায়। দু্দিন আগে রাত গভীর হলে ভাবলাম একটু রাস্তায় হেঁটে আসি। টুইটারে এলেবেলে বিভিন্ন বিষয় দেখতে দেখতে কোন সড়ক থেকে কোন সড়কে চলে এলাম, খেয়াল করি নাই। ২টা ৩টা হবে। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম ৬৪/৬৫ নম্বর রোডের মাথায়।
হাঁটছিলাম রাস্তায় আলো দেখে, অন্ধকার এড়িয়ে। কিন্তু এরপরে অন্ধকার। ভাবলাম স্কলাস্টিকার দিকে যাই। মাঝরাস্তা দিয়ে হাঁটছি - ডিভাইডার ঘেসে। টুইটারে দেখলাম হাল্কের বাংলাদেশী ভার্সন নিয়ে অনেক মেসেজের ছড়াছড়ি, মোবাইলে কোনো ভিডিও লিংক ওপেন হয় না বলে সেসবই খুঁটিয়ে পড়ছি।
এমন সময় একেবারে পিলে চমকে দিয়ে একজন সেক্সওয়ার্কার পথ আগলে দাড়ালো। এ রাস্তায় এসব বিচিত্র না। পাশ কেটে যেতে চাইলে রুখে দাড়ালো। এদের সাথে কথা বলাও রিস্কি , আবার ডজ দেবার চেষ্টা করলাম। সুনশান রাস্তা, একটাও গাড়ী দেখা যাচ্ছে না, মানুষজনেরও চিহ্ন নাই।
সেস্কওয়ার্কার মহিলাটিকে দেখতে খারাপ লাগছে না, মধ্যরাতে রীতিমত উত্তেজক মনে হচ্ছে। পুরুষমানুষ - নিজের উপরে আস্থা নাই। যত তাড়াতাড়ি ভেগে যাওয়া যায়, ততই ভদ্রলোকত্ব বজায় রাখা যাবে।
কিন্তু সালওয়ার-কামিজ পড়া রমনী আমার গা ঘেসে চলছে। বললো, এই যে ভাইয়া......একটা কাজ করেন! বেশী দেওয়া লাগবে না!
হাঁটতে হাঁটতেই জিজ্ঞেস করি, কত?
মেয়েটি বললো, ১০০০ দিবেন।
না..না...৮০০ দিলেই হবে!
বললাম, অত টাকা নাই!
সে বললো, ঠিকাছে ৫০০টাকাই দেন!
বললাম, অততও নাই!
সে বললো, ভাইয়া...আমার সাথে বিটলামী করতাচেন আপনে...ঠিকাছে চারশো! একটু মনে হয় মেজাজ খারাপ করে বললো। ততক্ষণে আমেরিকান ক্লাবের সামনে চলে এসেছি। সে তখন বলছে, এখানে দাড়ান...সামনে আর যামু না!
বললাম, কাজ করবা কোথায়?
সে বললো, আপনার বাসায়!
আমি বললাম, আমি তো ইউনাইটেডে আছি। সে বললো, তাইলে পার্কে চলেন!
জানতে চাইলাম কোন পার্কে। সে বললো, লেকপাড় পার্কে।
না..রিস্কি হইয়া যাবে! সে বললো, সবাই লাইন দিয়া কাজ করতেছে...কোনো রিস্ক নাই!
তারপর বললো, ভাইজান, আপনে বেশী পেচাইতেছেন! ভাবলাম, এখন একটু পেচাইতেই পারি, সামনে আমেরিকান ক্লাবের গার্ডরা আছে, ভয়ের কিছু নাই।
বললাম, তোমার কাছে কনডম আছে?
সে বললো, থাকবে না কেন? বলেই হ্যান্ডব্যাগ থেকে একটা কন্ডম বের করলো। হাত বাড়িয়ে নিলাম, দেখে বললাম, কন্ডম ছাড়া কয়টা কাজ করছো আইজ?
সে বললো, ওহ, বুঝছি! আপনে আমার ইন্টারভু লিবার নাকছেন! হুদাহুদি টাইম লস করলেন। একশ টাকা দেন!
বললাম, তুমি আমার সাথে হাসপাতালে চলো, কোনো কাজ করা লাগবে না, ওইখানে আমার সাথে লবীতে বইসা থাকবা, সকাল বেলা তিনশটাকা দিমুনে!
সে রাজী হলো না। আমি একশটাকা বের করে হাতে ধরিয়ে দিলাম, বললাম, ঠিকাছে এইটা রাখো।
সে টাকাটা নিয়ে বললো, চলেন হাসপাতালে যাই, তবে ৫০০টাকা দেয়া লাগবে! আর আমার রক্তটা একটু টেস্ট করাইয়া দেবেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।