ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চলে গেছে। কিন্তু এসেছে আরেক মহাসেন। এই মহাসেনকে পেয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স আশ্রয়কেন্দ্রে চলছে আনন্দের বন্যা। আজ বৃস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী জ্যোত্স্না বেগম।
আজ দুপুরের দিকে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে এই প্রতিবেদক দেখেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষের ভিড়ের মধ্যে নবজাতককে কোলে নিয়ে বসে আছেন জ্যোত্স্নার মা রাজ বেগম।
পাশেই পাতলা কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন জ্যোত্স্না।
জ্যোত্স্নার স্বজনেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতের আশঙ্কায় গতকাল বুধবার বিকেলে জ্যোত্স্না তাঁর স্বামী ও মায়ের সঙ্গে পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রাম থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। একই গ্রামের নূর চেহারা বেগম বলেন, ‘আমরা সারারাত এখানে ছিলাম। ঘূর্ণিঝড় আমাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তার পরও এই শিশুর জন্মে আমরা আনন্দ করেছি।
’ বেলা তিনটার দিকে শিশুটির নাম রাখা হয় মহাসেন।
এই নবজাতকের জন্মের সময় কোনো চিকিত্সক না থাকায় তার নানি ধাত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।
জ্যোত্স্না অভিযোগ করেন, সরকারি কোনো চিকিত্সক তাঁর খোঁজ নিতে আসেননি।
নির্মাণশ্রমিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন জ্যোত্স্নার স্বামী ফোরকান মৃধা। বাবার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে ছেলেকে নিয়ে খুশিতে আছি।
ওদিকে বাড়িতে ঘর পড়ে গেছে। ’
গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে নবজাতকের জন্মের খবর পেয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।