তিন্দু-রেমাক্রীর পথে ভয়ংকর পাথুরে সৌন্দ্যর্যের মাঝে -- পর্ব১
তিন্দুতে পানি-পানের বিরতির পরে আবার শুরু হলো আমাদের যাত্রা । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ঘন্টার কাঁটা ৪টা পার হয়ে গেছে । যাইহোক আবার ২পাশের সেই নয়নাভিরাম পাহাড়, মেঘ, আকাশ ...মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে সাঙ্গু। আসেপাশের পাহাড়ের চূড়ায় মিলবে পাহাড়িদের বাড়ি।
তিন্দু থেকে কিছুদুর আসার পরেই শুরু হবে বড় পাথর এলাকা ।
দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় আর মেঘের আলিঙ্গন । সামনেই ভয়ংকর খরস্রোতা বাঁক আর সৃষ্টির রহস্যের বড় পাথরগুলো আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলো তা কে জানতো
একে তো স্রোতের উলটা দিকে, তার উপর ঢালের উল্টাদিকে বিপদজনক বাঁক, সেই সাথে আসেপাশে প্রমান সাইজের পাথর (ডুবো পাথর তো আছেই ) সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা ভাষায় বর্ননা নাই বা করলাম
এখানে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায় তাই এই অঞ্চলের অধিবাসীরা এইসব রাজা পাথরের পুজা করে।
খানি পরেই আবার বাঁক । এইবার আর ইঞ্জিনের শক্তিতে কুলাবে না তাই আমাদের পাইলট হোয়াই মো'র পরামর্শে বাধ্য হয়েই আমাদেরকে নেমে যেতে হলো দড়ি টানায়
এইখানে এসেই আমাদের এক নয়া বিবাহিত সহযাত্রীর নার্ভাস ব্রেকডাউন ঘটে শুরুহয় অভিযাত্রীদলের টানাপোড়েন । যাবো কি যাবোনা শেষমেস ক্রেজীনেস জয়ী হয় ।
আমরা ক্রেজী-ট্রাভেলার'রা দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত হয়ে নৌকায় উঠে বসি রেমাক্রীর পথে...
ধন্যবাদ সকল সহযাত্রীকে । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।