সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
ডিয়েগো ম্যারাডোনাবিহীন আর্জেন্টিনা যুগ শুরু হলো জয় দিয়েই। তবে সেই জয়টি এল রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে। প্রীতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বিতর্কিত গোলে ১-০ ব্যবধানে হারাল বটে আর্জেন্টিনা, কিন্তু দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের খেলা ভক্তদের মন ভরাল না।
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের ২০ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ওই গোলেই খেলার হার-জিত ঠিক হয়ে যায়। যদিও গোলের পরই আইরিশ খেলোয়াড়রা অফসাইডের দাবিতে রেফারি এবং লাইন্সম্যানকে ঘিরে ধরেছিলেন। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্ত বদলাননি।
এমন কষ্টের জয়ের পরও খুশি আর্জেন্টিনার ভারপ্রাপ্ত কোচ সার্জিও বাতিস্তা।
কারণ জয় দিয়েই তার যাত্রা শুরু হলো। বলেছেন, ‘খেলার ফল যাই হোক না কেন, আমি খুশি যেভাবে দল গোটা ৯০ মিনিট খেলেছে, সেই পারফরম্যান্সে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে তো আমরা বেশ ভালো খেলেছি। খেলোয়াড়দের মধ্যে টিম স্পিরিট এবং সমঝোতা যথেষ্টই ছিল। তাই এক গোলে জিতলেও আমি এটাকে ইতিবাচকই বলব।
’
তবে বাতিস্তা স্বীকার করেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে তার দল একটু বেদম হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে শারীরিকভাবে অনেক বেশি সক্ষম আইরিশদের বিপক্ষে। কিন্ু্ত এক গোলের অগ্রগামিতা ধরে রাখাটাকেও একটা অন্যরকম জয় হিসেবে দেখছেন আর্জেন্টাইন কোচ। প্রথমার্ধে দলের পারফরম্যান্সকে বাতিস্তা দশের মধ্যে আট দিয়েছেন। ডি মারিয়ার বিতর্কিত গোল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আর্জেন্টিনার কোচ। বলেছেন, খেলার মাঠে অফিসিয়ালদের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
আইরিশ কোচ জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি ছিলেন হাসপাতালে। মাঠে ছিলেন তার সহকারী মার্কো টার্ডেলি। দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি হলেও ম্যাচের ফলে হতাশ। বলেছেন, ‘খেলার প্রকৃত ছবি ফলে প্রকাশিত হয়নি। আমরা সমানতালে লড়েছি শ্রেয়তর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
দলের তরুণ খেলোয়াড়রা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। ’
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার যে দল জার্মানির কাছে চার গোল খেয়ে বিদায় নিয়েছিল তার আটজন ছিলেন এ ম্যাচের প্রথম একাদশে। ছিলেন না ম্যাক্সি রডরিগুয়েজ, কার্লোস তেভেজ এবং নিকোলাস ওটামেন্ডি। ওদিকে আয়ারল্যান্ডের হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন স্ট্রাইকার রবি কিন।
ম্যাচের শুরু থেকেই মেসিকে নিয়ে ছিল দর্শকদের বাড়তি উচ্ছ্বাস। ৯ মিনিটেই গোল পেতে যাচ্ছিলেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার। আইরিশ ডিফেন্ডার জন ও শেহাকে ডজ দিয়ে মেসির নেয়া শট অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৩ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি নষ্ট করেন কিন।
২০ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লম্বা গোল কিক নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। সেই বল ধরেন গঞ্জালো হিগুইন। তখন তিনি পরিষ্কার অফসাইডে। কিন্তু ফুটবলের নিয়ম হচ্ছে গোলকিক থেকে বল ধরলে অফসাইড হয় না।
কাজেই খেলা চালিয়ে যান রেফারি। সেই বল যখন ডি মারিয়া পান তখন তিনিও ছিলেন অফসাইডে, এমনটাই মনে হয়েছে। তবে লাইন্সম্যান পতাকা না তোলায় অনায়াসে গোল করে যান তিনি। প্রতিবাদ করেও ফল পায়নি আয়ারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই কয়েকজন খেলোয়াড় বদল করে।
এ অর্ধে বল বেশিরভাগ সময় দখলে রাখে আইরিশরাই। কিন্তু আর্জেন্টিনা তাদের খেলার সুযোগ দেয়নি। তবে তার মধ্যে একক প্রচেষ্টায় বারকয়েক রবি কিন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে ফাটল ধরিয়েছেন। তার মুন্সিয়ানাও যেন মেসির ছাপ ছিল। তবে গোল পাননি অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার।
শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
সুত্রঃ আমারদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।