উচিত কথা কমু, তাতে মসজিদ আর মাদরাসা কি
১। খতম তারাবী পড়া সোয়াব না হয়ে গুনাহ হতে পারে, যদি কম সময়ে শেষ করার নিয়তে ভুলভাল ভাবে ক্বিরাত পাঠ করা হয়। তাই খতম তারাবী পড়া গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশুদ্ধভাবে সুরা পাঠ করা।
২। সেহেরীর সময় চিৎকার,চেচামেচি করে সবার ঘুম ভাঙানো সম্পূর্ন ইসলাম বিরোধী।
মৃতপথ যাত্রী কোনো রোগী, বয়সের ভারে ন্যুজ কোনো বয়স্ক মানুষ অথবা যাদের উপর রোজা ফরজ হয়নি এমন কোনো ঘুমন্ত শিশুর ঘুম ভাঙিয়ে সেহেরীর আহ্বান ইসলাম সম্মত না।
৩। রমজান যেন ধর্মপ্রাণ মানুষকে সংযমী করে, বিনয়ী করে এবং সবকিছুতে ধৈর্য্য সহিষ্নু করে। রোজা যেন না হয়ে যায় শুধু উদর পূর্তির আর ঈদ যেন না হয়ে যায় শুধু প্রদর্শনের উৎসব। জীবনভর রোজা রেখে বুভুক্ষু মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রনাই যদি উপলব্ধি করা না যায়, তা শুধু উপবাসই হবে।
হাদীস হলো- যার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত যাপন করলো সে আমার উপর পূর্ণ ঈমান আনেনি। বুঝতে হবে এ প্রতিবেশী শুধু মুসলমান না, যেকোনো ধর্মাবলম্বী হতে পারে। এমনকি প্রতিবেশী যদি শ্রষ্ঠায় বিশ্বাস ও না করে। তার দেখভাল করা নিষ্ঠাবান ধর্মপ্রাণ মানুষের কর্তব্য।
৪।
নামাজ পড়ার নামে মসজিদের বাইরের রাস্তায় জ্যাম লাগিয়ে অন্যের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোও ইসলাম সম্মত না। জুমাবারে যা প্রায়শঃই হয়ে থাকে। ইবাদতের মূল কথা হলো, শ্রষ্ঠার সাথে মধুরতম নৈকট্য স্থাপন। অন্যের ক্ষতিসাধন নয়।
৫।
ইফতারীর পর পরই মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে নির্বিচারে ফুক ফুক করে বিড়ি ফুকা একবারেই অশোভন।
৬। রোজার নাম ভাঙিয়ে কিংবা নামাজ পড়ার অযুহাতে অফিস কাজে অবহেলা রীতিমত অপরাধ।
৭। জোর করে কাউকে খাওয়া থেকে বন্চিত করাও ইসলাম সম্মত না ।
যেমন- কিছু কিছু জায়গায় সব হোটেল,রেস্তোরা সারাদিন বন্ধ করে রাখে। এ অবস্থায় কোনো ভ্রমণকারি, হাসপাতালের রোগী অথবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী অথবা যাদের উপর রোজা ফরজ হয়নি তাদের ক্ষুধায় কষ্ট পেতে হয়। ধর্ম হলো উপলব্ধি ,চাপিয়ে দেয়া বা জোর জবরদস্তি না।
৮। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো , যে একান্ত নির্জনে, ইবাদতে মসগুল হয়ে নীরবে চোখের জল ফেলে।
লোক দেখানো কোনো ইবাদত, দান ,খয়রাত শ্রষ্টার কাছে গ্রহণযোগ্য না।
৯। গরীব, দুস্ত মানুষ যাদের রাতের খাবার, সেহেরীর খাবার, ইফতারী করার সামর্থ্য নেই তাদের জন্যই ইফতারীর আয়োজন হতে পারে। গ্রামে গ্রামে ,পাড়ায় পাড়ায় , মহল্লায় মহল্লায় অথবা রাজনৈতিক ইফতারি পার্টির আয়োজন, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ একেবারেই শরীয়ত সম্মত না।
১০।
ইফতারি, সেহেরীতে রকমারী খাবারের পসরা সাজানো ইসলাম বিরুদ্ধ। এটাও এক ধরনের অপচয়। ইসলামে যেকোন প্রকারের অপচয় স্বীকৃত না।
উপরের বিষয়গুলো শুধু রমজান মাসেই না অনেকগুলো বিষয় সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।