০
কলেজে থাকতে পড়ালেখায় একদম মন বসত না। সারাদিন বাসার সবাইকে খুব জ্বালাতাম। মাঝে মাঝে রাগ করে সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতাম। একদিন আম্মুর সাথে একটা তুচ্ছ ব্যাপারে ঝগড়া করে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হল। যথারীতি একটা উচ্চমার্গীয় কাব্য (!) নামিয়ে দিলাম ডায়েরীর পাতায়।
এটাকে কাব্য বলা যাবে কিনা বুঝতে পারছিনা। কাব্য বোদ্ধারা এরকম কবিতা পড়লেই তাদের মেজাজ চিড়বিড়িয়ে উঠার কথা। এটাকে ডাস্টবিনেই ফেলবেন উহারা। তাদের মেজাজ আরেকটু গরম ভাজাভাজা করে দেয়ার জন্য কবিতাটা তুলে দিলাম। আমারো মেজাজ খারাপ ছিল।
মেজাজে মেজাজে কাটাকাটি। এই দেড় মিটার দীর্ঘ কাব্য জাতির কী পরিমান বিরক্তির উদ্রেক করে তাহা দেখিবার বিষয়!
10% কাব্য + 90% মেজাজ = শান্তি
সৃষ্টিকালঃ ১৩ ফাল্গুন ১৪১৩
ধরি
একটি মানুষ
সমান Y।
Y একটি বিন্দু
তাহার স্থানাংক (০,০)
বিন্দুটি গতিশীল
খুবই জটিল গতিপথ
কখনো পর্যাবৃত্ত, কখনো স্পন্দন
ত্রিমাত্রিক বা বহুমাত্রিক
এই মানবের সাথে আমার দেখা হয়-
প্রতিদিন অনেকখানি
অলস বকবকানি
অন্ধ অনুপ্রেরণায় সময় কাটে
ওর আর আমার।
আমি বিন্দুটির চরিত্র বাখ্যা করি-
কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকে
যখন চারিদিক নির্জন , জনপদহীন।
বাতায়ন বহে
দূরে একটা লাউ গাছ মৃদু দোলে
সে অলস মনে ভাবে তার চিন্তাভাবনা
অলস হয়ে গেছে,
সেরেব্র্যাম না হাইপোথ্যালামাস
মাঝে মাঝে ক্ষুদ্ধ হয়
নার্ভগুলো কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলতে ইচ্ছা হয়।
জগতের নিত্য ধাক্কাধাক্কি গতিপথে বাধাঁ দেয়-
চুপচাপ নিরবতা
কেউ সহেনা
কথার তীব্র প্রাবল্য
তাও যন্ত্রনা-
সুতরাং সাম্যাবস্থা।
বিন্দুটি জানেনা যে
স্রষ্টার বাণী- তোমাদের সাম্যাবস্থায় সৃষ্টি করা হয়েছে?
সাম্যের রূপ তার কাছে পরিষ্কার নয়
সে এখন আদর্শ মানব সমীকরণ গড়ায় ব্যস্ত।
যারা এই সূদীর্ঘ অপকাব্য সমাপ্ত করে এই পর্যন্ত এসেছেন তাদের একটা ঘটনা বলি, কয়েকদিন আগে নীলক্ষেতে একটা কবিতার বই দেখেছি-
নামঃ মেঘের ঘরোয়া পরিবেশ
কবিঃ প্রকৌঃ আশরাফ হোসেন
কবিসাহেব পেছনের ফ্ল্যাপে তাহার প্রোফাইলের সাথে নতুন একটা বিষয় যোগ করিয়াছেন-
''ঊড়োসংযোগঃ ০১৭১...........
কাব্য পাঠ করিয়া মতামত জানাইলে প্রীত থাকিব। ''
নিজের কাব্যের শেষে এই হাস্যকর বস্তু যোগ করিলে কেমন হয় ভাবিতেছি...যদিও আমার কাব্য এমনিতেই যথেষ্ট হাস্যকর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।