আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Fast-a-thon



Fast-a-thon আমেরিকা এবং ক্যানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের (MSA) একটি প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের মূল স্লোগান হচ্ছে “go hungry for one day, so someone else won’t have to। ” এটি মূলত অমুসলিম ছাত্রছাত্রীদের উব্দুদ্ধ করে একদিন রোজা পালন করতে। এই প্রজেক্টের কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালের MSA এর সদস্যরা স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানদের সাথে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক অমুসলিম ছাত্র অথবা ছাত্রীর রোজা পালন শেষে অংশগ্রহনকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরা নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি টাকা MSAকে দিয়ে থাকে।

MSA সেই টাকাগুলো যেইসব অমুসলিম ছাত্রছাত্রী রোজা পালন করেছে তাদের নামে কোন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দান করে থাকে। এই প্রজেক্ট থেকে প্রতিবছর অর্জিত হয় হাজার হাজার ডলার। সেইসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানদেরই টাকাটি দেয়া হয়ে থাকে যাদের সুনাম রয়েছে একই সাথে এলাকার মুসলিম এবং অমুসলিমদের মাঝে। Fast-a-thon প্রজেক্টটি প্রথম শুরু হয়েছিলো নক্সভিলের ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসীতে ২০০১ সালে সেপ্টেম্বর ১১ এর হামলার পরপর। গত ২০০৯ সালে উত্তর আমেরিকার প্রায় ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় Fast-a-thon এ অংশগ্রগণ করে।

Fast-a-thon সাধারণত রমজান মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। Fast-a-thon এর মূল উদ্দেশ্য মানু্ষের মাঝে ক্ষুধা-বিষয়ক সচেতনতা তৈরী করা, কেন মুসলিমবিশ্ব একমাস সিয়াম সাধনা করে সেই ব্যপারে অমুসলিমদের একটি ধারণা দেয়া এবং সর্বপরি ইসলামবিষয়ক কিছু ভ্রান্ত ধারণার উপর আলোকপাত করে সেসব ব্যপারে একটি সঠিক ধারণা প্রদান করা। সারা বিশ্বে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ খালিপেটে ঘুমোতে যায়। এইসব মানু্ষেরা কোন ধর্মীয় অনুশাসন থেকে রোজা অথবা সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত না খেয়ে থাকেনা। রোজা তাদের জন্য প্রতিদিনের একটি বিষয়।

দারিদ্রের কষাঘাত তাদেরকে বাধ্য করে খালিপেটে দিনাতিপাত করতে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে দিনযাপন করে, অনেকের মাথা গুঁজবার ঠাঁইটুকু পর্যন্ত নেই। অথচ আমাদের একটু সচেতনতা এবং সাহায্য আমাদের আশেপাশের মানুষদের জন্য করে দিতে পারে একদিনের আহারের সংস্থান। মূলত এই উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই MSA শুরু করেছিল তাদের Fast-a-thon প্রজেক্টটি। MSA এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৩ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের আরবানা-শ্যাম্পেইন ক্যাম্পাসে।

বর্তমানে এটির চ্যাপ্টার আছে আমেরিকার স্বনামধন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার মধ্যে আছে হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিউট অফ টেকনোলজি, জন্স হপকিন্স, কলাম্বিয়া, স্ট্যানফোর্ড ইত্যাদি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।