কবিতা/ গল্প/ উপন্যাস/ প্রবন্ধ/ অন্যান্য
কক্সবাজারে অত্যাধুনিক রাডার স্টেশনটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। রড়্গণাবেড়্গণ, নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ পরিসি'তির সৃষ্টি হয়েছে। রাডার স্টেশনের কেপিআই এর ১০ মিটার এলাকায় বসত বাড়ি তৈরী না করার নিয়ম থাকলেও এই এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে অনেক বসত বাড়ি। একই সাথে স্টেশনটির আশের পাশের জমি জবর দখল করে পাহাড় কেটে সমতল করা হচ্ছে। যার কারণে স্টেশনটি অচল হওয়ার পাশাপাশি ধ্বসে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ফেব্রম্নয়ারী মাসে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে অত্যাধুনিক রাডার স্টেশনটি স'াপন করা হয়। জাপানের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত এই রাডার স্টেশনটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার অবস'ান, পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি আনর্ত্মজার্তিক আবাহওয়া বার্তার জন্য অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন' বর্তমানে এই স্টেশনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রড়্গণাবেড়্গণ, নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি স্টেশনটি চার পাশের জমি দখল করে চলছে বসত বাড়ি তৈরীর কাজ। এর সাথে অব্যাহত পাহাড় কাটার কারণে বিপর্যয়ের আশংকা করছেন স্বয়ং স্টেশনের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটকের অন্যতম স'ান হিলটপ সার্কিট হাউসের দড়্গিণে অবসি'ত দেশের অত্যাধুনিক এই রাডার স্টেশনটি। এই হিলটপ সার্কিট হাউসের পাহাড়ে ইতিমধ্যে ৩’শর বেশি বসত বাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে শতাধিক বসত বাড়ি রাডার স্টেশনটিকে ঘিরে। পাহাড় দখল করে কেটে সমতল করে তৈরী করা হয়েছে এসব বাড়ি। অপরদিকে রাডার স্টেশনটির পশ্চিমে পাহাড় ধ্বসে যেতে শুরম্ন করেছে।
কর্তৃপড়্গ এই পাহাড় ধ্বস রোধে ওয়াল তৈরী করলে তা কোনভাবে রড়্গা করা যাচ্ছে না। ফলে ক্রমাগত পাহাড় ধ্বসে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এই অবস'ায় স্টেশনটি রড়্গা করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কর্তৃপড়্গের।
রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি প্রথম (খ) শ্রেণীর কেপিআই ভূক্ত একটি গুরম্নত্বপূর্ণ স'াপনা। কেপিআই নীতিমালা অনুসারে স'াপনার সীমানা দেয়ালের ১০ মিটারের মধ্যে কোন প্রকার বসতবাড়ি তৈরী করা যাবে না।
নিরাপত্তার হুমকির কারণে এই নিয়ম রয়েছে। স্টেশনের পশ্চিম পূর্ব রয়েছে অনেক বাড়ি। এরা মাটি কেটে স্টেশনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলেছে। এব্যাপারে উধ্বর্তন কতৃপড়্গকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা যায়, হিলটপ সার্কিট হাউস সহ রাডার স্টেশন এলাকাটি এখন অপরাধিদের নিরাপদ আশ্রয়স'লে পরিণত হয়েছে।
এক শ্রেণীর যুবক এই এলাকাটি ঘিরে মাদক সেবনের আড্ডা তৈরী করেছে। একই সাথে এসব যুবকরা এই এলাকায় চুরি, ছিনতাই করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে স্টেশনটির বেশ কিছু গুরম্নত্বপূর্ণ যন্ত্র ও মালামাল চুরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাডার স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, গত ৬ মে রাডার স্টেশনের মূল্যবান ৪০ ফুট তার চুরি করে নিয়ে যায় এসব যুবকরা। পরের দিন এব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরীও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
যার নম্বর ২৯৫।
রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, রাডার স্টেশনটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিবেচনায় ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ অথবা আনসার রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন' এই স্টেশনে তা না থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।