আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গত কয়দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নিয়ে দেশে যা হচ্ছে এটি কি-না বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞ সচিব জানেন-ই না!!!! হায়রে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার কথা .....!!!!



রাত-দিন প্রায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং তো আছে, তার সঙ্গে “গোদের ওপর বিষফোঁড়া”র মতো যুক্ত হয়েছে ১০-১৫ মিনিট ও আধা ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার যন্ত্রণা। আবার কখনো সেই যে লোডশেডিং শুরু হয়, দুই ঘণ্টায়ও আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না। বিদ্যুৎ নিয়ে দেশে এটা কী হচ্ছে? এই জিজ্ঞাসা এখন আমাদের সকলের। গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ১০-১৫ মিনিট বা আধা ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ব্যাপারে তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়!!! তার মানে তারা জানেই না!!! এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যুৎসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি আছে। কাজেই লোডশেডিং হবে। কিন্তু ওই রকম হওয়ার কথা নয়। ও রকম হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তা লোড ডেচপাস সেন্টার (এলডিসি) থেকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা। তার পরও এ রকম কেন হচ্ছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা এবারই প্রথম। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিতরণকারী কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) দেখেছে, শিল্প এলাকাগুলোতে দিনের যেকোনো সময় কিংবা সান্ধ্যকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার চেয়েও গভীর রাতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এর কারণ খুঁজে জানা গেছে, দিনের বেলা প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ না পেয়ে অনেক মালিক গভীর রাতে শিল্প কারখানা চালাতে শুরু করেছেন। পিডিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় মেরামত-সংরক্ষণ শেষে আজই চালু হচ্ছে ঘোড়াশালে ১৮০, আশুগঞ্জে ১৪০ ও বড়পুকুরিয়ায় ৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি ইউনিট। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি এগ্রিকোর আরও ১০০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল আগামী ১৫ আগস্ট চালু হচ্ছে।

আমরা শুধু আশার বানী-ই বার বার শুনতে পারছি। আমাদের প্রশ্ন যেহেতু বিদ্যুৎ পরিস্থির বর্তমান অবস্থা মন্ত্রনালয় জানেন না, তার মানে কি এটি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, বলতে পারি না? কারন এর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় আছে সরকার বিরোধী কোন সংগঠন। তা না হলে হঠাৎ করে এমন হওয়ার কারন কি হতে পারে? যদিও ঘাটতি আগেও ছিলো...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।