কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই তুমি জানতে চাও কেন তোমাকে ভালোবাসি,
এ তো এ জন্মের কথা নয়।
এ অনেক অনেক আগের জন্মের কথা!!!
যেখানে তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে, আমার হবে।
তুমি তোমার সে কথা রেখেছ,
তুমি আমাকে তোমার করে নিয়েছ।
তুমি কি ভুলে গিয়েছ, যখন আমি ছিলাম নিঃশ্চুপ পাহাড়
আর তুমি শরতের সাদা মেঘ।
আপন মনে ঘুরে বেড়াতে আকাশে আকাশে।
আমি দূর থেকে শুধু তোমাকে দেখেছি, কিছু বলি নি।
হঠাৎ একদিন কিছু কালো মেঘ পিছু নিল তোমার।
তুমি ভয়ে আতংকে আমার পেছনে এসে লুকালে।
দেখা হল তোমার সাথে, তুমি আমায় চিনলে না।
কিন্তু কি কারনে যেন যাওয়ার সময় বলে গেলে
আবার দেখা হবে।
আবার তুমি তোমার মত
আকাশে আকাশে, হয়ত ভুলে গেলে আমার কথা।
আমি প্রতীক্ষায় থাকলাম তোমার।
দূর থেকে তোমাকে দেখতাম,
কি যেন অজানা লাজে,
সবসময় আমার থেকে দূরে থাকতে...
কেন দূরে থাকতে?
ধীরে ধীরে আমার যাওয়ার সময় হল।
শেষ ইচ্ছে ছিল, তোমায় দেখার।
শুধু একটি বারের জন্য, এক পলকের জন্য।
জান তো বিদায় ক্ষনের আগে
একবার শেষ দেখা কত ভয়ানক।
ইচ্ছে ছিল
তোমায় একবার দেখে আমি শান্তি তে চলে যাই।
আমার আর কিছু চাওয়ার ছিল না।
আমি চিলদের কাছে আমার খবর পাঠিয়ে ছিলাম।
তুমি আসোনি... তুমি কেন আসোনি?
আমি এক অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম,
সারা বিশ্বময়।
পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।
বিস্তৃত বেলাভূমি থেকে মরুভুমি পর্যন্ত।
যেখানেই থেকেছি শুধু তোমাকেই খুজেছি।
কোথাও পাইনি।
একদিন ঈশ্বরের দয়া হল।
তিনি আবার আমাকে বর দিলেন।
এবার আমি হলাম জোৎস্না।
প্রথম যেদিন আমি চাঁদ থেকে চুইয়ে পৃথিবীতে আসলাম,
সেদিন জানালার ফাঁক দিয়ে তদ্রায় নিমগ্ন তোমাকে
একান্ত ভাবে স্পর্শ করতে চাইলাম।
দেখি এ সমস্ত ফাকি।
তোমাকে দেখার দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে,
কিন্তু স্পর্শের ইন্দ্রিয় দেওয়া হয় নি।
তার পরেও
আমি তোমার সমস্ত দেহে বিচরণ করেছি...
তাতেও কেন তোমার ঘুম ভাঙেনি?
আবার আমি প্রার্থনা করলাম, শুধু একবার
আমাকে মানুষ হয়ে তোমার পাশে যাওয়ার।
মনুস্য দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে দেখার।
এই কাদা-মাটির হাতে তোমাকে ছোঁয়ার।
ঈশ্বর আবার আমার ইচ্ছে পূরন করলেন,
মাঝে রেখে দিলেন ফাকি।
অনেক রথ, অনেক পথ, অনেক সময় পার করে
আমি অবশেষে তোমার কাছে এলাম... আর
তুমি বলো কেন তোমাকে ভালোবাসি?
তুমি কি জানো না;
কাউকে জোর করে ভালোবাসা যায় না?
এ তো এত সোজা ব্যাপার না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।