"এক ষ্টেশনের টিকেট কেটে অন্য কোন স্টপেজে নেমে পড়া আমার আজন্ম স্বভাব" ইয়াহু মেসেন্জার : ahmed_wpsi@yahoo.com
১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গার অদুরে বর্তমান মুজিব নগর থানাধীন ধান ক্ষেতে পাক বাহিনীর সাথে সাহসী সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করে স্থানীয় ০৮ জন বীর সন্তান শহীদ হন; আহত হন প্রায় ১১ জন। পৃথিবীতে যুগে যুগে সম্মুখ যুদ্ধের ইতিহাস অত্যান্ত সম্মানজনক এবং বিরল বীরত্বের বহি:প্রকাশ । অথচ আজকের অবহেলিত জনপদ চুয়াডাংগার কতিপয় বীর সন্তান সেই বিরল কুতিত্বের কাজটি জীবনের বিনিময়ে করে দেখিয়েছিল। মেহেরপুরের অনর্তগত বর্তমান জগন্নাথপুর গ্রামে ১৯৭১ সালের এই দিনে মোট ৮ জন বীর শহীদ হন , তারা হলেন-চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝেরপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম, চুয়াডাঙ্গা শহরের শেখপাড়ার মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে আলাউল ইসলাম খোকন, আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে কিয়ামুদ্দিন, আলমডাঙ্গার গোকুলখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব হোসেনের ছেলে হাসান জামান, আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে রওশন আলম, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আফাজ উদ্দিন ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কাষ্টদহ গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে খালেদ সাইফুদ্দিন আহমেদ তারিক। ৮ শহীদের মধ্যে একমাত্র তারিককে দেয়া হয় বীরবিক্রম খেতাব।
এ ৮ শহীদের লাশ পাকহানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে এনে দু’টি গর্তে মাটিচাপা দেয়। তারপর কালের অতলে অনেকটা চাপা--ই পড়ে গিয়েছিল আমাদের এই বীরত্বগাথাঁ। । অবশেষে ৯০-এর দশকে চুয়াডাংগার কৃতি সন্তান , শক্তিমান সাহসী সাংবাদিক রাজিব আহমেদ "সম্মুখ সমরে" নামে একটি গ্রন্হ প্রকাশ করেন --যা ঐ যুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবে কাজ করে । বইটি প্রকাশের সাথে সাথে সর্ব মহলে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে ।
যার প্রেক্ষিতে ওই গণকবরের ওপরই মেহেরপুর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ১৯৯৮ সালে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এক একর জমির ওপর নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, ৯টায় আলোচনাসভা, ১০টায় দোয়া মাহফিল ও দুপুরে কাঙালিভোজের আয়োজন করেছে ।
--------------
বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাংগা জনপদ বরাবর-ই বীর প্রসৃতী। কিন্তু অবহেলা আর প্রচার-প্রসারের অভাবে এই অঞ্চল আজো দৈন্যতার প্রতীক বৈ কিছুই নহে । অথচ এই অঞ্চল থেকেই সরকার একটা বড় অংকের রাজস্ব আয় করে থাকে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিধৃত ভুমি বলেই চুয়াডাংগা সর্ব স্বীকৃত। তোফায়েল আহমেদ, মো:নাসিম , কর্ণেল অলি আহমেদ এমনকি বর্তমান দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সহ বহু বড় বড় নেতা চুয়াডাংগাতে এসে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্টানে মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাংগার অবদান এবং এই জনপদের মানুষের বীরত্বগাথা--আন্তরিকতা নানান রং দিয়ে বর্ণনা দিয়ে গেছেন। তাদের সেই প্রশংসা বাণীতে চুয়াডাংগা বাসীর অন্তর ভিজেছে বহুবার --কিন্তু ঐ পর্যন্তই । বর্তমানে , চুয়াডাংগার দুই আসনেই সরকারী দলের সাংসদ তারপরেও ---জেলাবাসী পাইনি এতটুকু নাগরিক সুবিধা। বিদ্যুত-এর জন্য এলাকাবাসীকে রাস্তায় নামতে হয়েছে , এলাকার রাস্তাঘাটর-ও পড়ে আসে সেই মধ্যযুগে।
।
------
দেশ কে ভালোবাসার পূবশর্ত নিজের জনপদ-কে সত্যিকারের ভালোবাসা । । দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নেতারা যখন নিজের অঞ্চল সমূহ সোনা দিয়ে মুড়ে দিতে ব্যস্ত সেখানে আমাদের চুয়াডাংগার জন নেতা গণ বিশেষ করে দুই সাংসদ যাদের আমরা অনেক আশাকরে ভোট দিয়েছিলাম তারা কী নিয়ে এত ব্যস্ত তা আমার মত সাধারণ মানুষের বোধ গম্য হযনা । দলের চেয়ে দেশ বড় তাই আসুন দেশের জন্য তথা নিজের জনপদের উন্নয়নে স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে কাজ করি না হলে বোকা সরল জনগণ ছেড়ে দিলে-ও নিজের জনপদের মাটিটুকুর অভিশাপ থেকে বাচাঁ কঠিন হয়ে যাবে।
সকল অমনিশা কেটে চুয়াডাঙ্গায় হেসে উঠুক ভোরের সূর্য্য। ।
-------
জয়তু চুয়াডাংগা ; বাংলাদেশ সুখী হোক । । ।
। । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।