লেখতাম কম, পড়তাম তারচে' বেশী। কমেন্টাইতাম তারচে'ও বেশী। ব্লগীয় যাদু টোনা বান ইত্যাদি হৈতে মডারেটর মহোদয়গনের কাছে "নিরাপদ" আশ্রয় কামনা করি।
বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেক ভাগেই ভাগ করা যায়। কিন্তু রাজনিতি সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে ভাগ করলে মনে হয় এটাও বলা যায় যে আমরা দুই ভাগে বিভক্ত।
একদল রাজনিতি করে আরেকদল এই প্রথমোক্তদের রাজনৈতিক চালের শিকার হয় বা সুবিধা অসুবিধা ভোগ করে। তথ্যের অপ্রতুলতার কারনে এবং যেকোনো তথ্যের উপর মানিপুলেট করার লোক অনেক হওয়াতে এদেশে একি কথা বা একি ঘটনার বিবিধ ভারশন পাওয়া যায়। যার ফলে জনসাধারন ব্যাপকভাবে বিভ্রান্ত হয়। মোটামুটি এমনি একটা অবস্থা এই মুহুর্তে আমার। কি নিয়ে সেটা নীচের লিংকে দেওয়া ইউটিউবের ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যাবে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় উনআশি বছরের এক বৃদ্ধকে। যার কথা থেকে বোঝা যায় যে তিনি নিতান্তই কায়ক্লেশে দিনপাত করেন। কিন্তু তার এই প্রাত্যহিক জীবনের কস্টকে লাঘবের চিন্তা না করে রাজনিতির সাথে জড়িত জনাংশ তাকে নিয়ে অদ্ভুত এবং অমানবিক একটা খেলা খেলছে। ভিডিওটি দেখে যা বুঝলাম যে এই দিনহীন বৃদ্ধটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রথমে রাজাকার ছিল এবং পরে মুক্তিবাহিনীতে চলে আসে। আগেই বলে নেই যে এই তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কোনো উপায় আমার নেই এবং সেই চেস্টাও আমি করিনি বা করার প্রয়োজন বোধ করছিনা যেহেতু আমার মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে অন্য একটা ব্যাপারে।
ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এই বৃদ্ধ ইতিপূর্বে অন্যকোনো এক ভিডিওতে নিজামির বিরুদ্ধে কিছু বক্তব্য দিয়েছিলেন। এখন আবার বর্তমান ভিডিওটিতে পুরোপুরি উল্টা কথা বলছেন। এখন তার ভাষ্যমতে পূর্ববর্তি ভিডিওটিতে বলা কথাগুলি তিনি চাপের মুখে বলেছিলেন।
এখন কথা হলো বর্তমান ভিডিওটিতে সাক্ষাৎকার গ্রহনকারি ব্যাক্তিটি নিজেকে আড়াল করেছেন। বৃদ্ধটিও পূর্ববর্তী সাক্ষাৎকার গ্রহনকালে কার নির্দেশে বা কার হুমকিতে "মিথ্যাকথা" বলেছিল সেটা বলতে পারেনি।
এমতাবস্থায় এই ভিডিওটিকি এইলোকটার নিরাপত্তার জন্য একটা হুমকি নয়?
কেউ কি কিছু বলতে পারেন?
ভিডিওটির লিংক : http://www.youtube.com/watch?v=EA1JQvKz8W0
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।