আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভরতি হলাম ২০০৯ সালে স্প্রিং সেমিস্টার এ। হল এ উঠলাম তখন। সেদিন ছিল শুক্রবার। বিকাল ৫-৩০ এর দিকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হল এ উঠলাম। আমার রুম নং ৪২১।
আমি জানতাম না ওই টা ছিল হল এর বিশেষ রুম। তো রুমে বিছানা পত্র রাখার আগেই খেলাম একটা "রাম ঝারি"। ওই সময় কারেন্ট ছিল না। আর ওই রুমের পাশের রুম এ আউট গোইং ব্যাচের বড় ভাই রা ছিল। আমি তাদের সালাম না দেয়া তে ঝারি টা খেয়েছিলাম।
আসলে অন্ধকারে তাদের কাউকে দেখি নাই। তারপর শুরু হল আমার "হল জীবন"। প্রথম সেমিস্টার এ খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। এই না কোন বড় ভাইয়ের সামনে পড়ি আর "র্যাগ" খাই। আমার ওই রুম এ প্রায় বৃহস্পতি রাতে নতুন ছাত্র দের র্যাগ হত।
আমি প্রহর গুনতাম কখন আমার ডাক পরে। আমি বেচে গেছি যে প্রথম সেমিস্টার এ আমার ডাক পরে নাই। কারন ওই সময় ডাক পরলে বাপ্পী ভাইয়ের হাতে পরতে হত। আর বাপ্পী ভাই ছিল র্যাগ মাস্টার। প্রথম সেমিস্টার এর পুরা টা সময় সালাম দিতে দিতে হাত ব্যাথা হয়ে যেত।
সিড়ি দিয়ে উঠতে সালাম, নামতে সালাম। পেপার পড়ার রুম এ বসে আছি, আসল বড় ভাই। উঠে যাও। ভাই বসবেন। অগত্যা শচীন এর খবর না পড়েই উঠ।
ভাইকে একটা খান্দানী সালাম দাও। মাথা নিচু করে চল। মাথা উচু তো এই "পোলা" বেয়াদপ। ডাক। বুঝাও হল এর নিয়ম কানুন।
নসিহত কর ভদ্র থাকার আর বড় ভাইদের মন যোগীয়ে চলার উপকারিতা(এখন অবশ্য আর ঐ নিয়ম এর এত কড়াকড়ি নেই)। ২য় সেমিস্টার এ আমার পরিচিতি পরব হয়ে গেল। আমি হয়ে গেলাম "ফ্রী"। ....................................চলবে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।