পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন শ্রীশান্ত। এর আগে নিজের দোষ স্বীকার করেন অঙ্কিত চাভান। তবে রাজস্থান রয়্যালসের আরেক ক্রিকেটার অজিত চান্ডিলা এখনো নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন।
দিল্লি পুলিশের একজন কর্মকর্তা আজ শুক্রবার ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেন, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীশান্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কাঁদছিলেন।
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীশান্ত, চান্ডিলা ও চাভানকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন দুপুরেই তিন ক্রিকেটারকে বহিষ্কার করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জন জুয়াড়িকে।
দিল্লি পুলিশ জানায়, গতকাল তিন ক্রিকেটারকে মুম্বাই থেকে দিল্লিতে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি বিশেষ দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ জানায়, ৯ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে স্পট ফিক্সিং করেন শ্রীশান্ত। এক ওভারে ১৪ বা এর বেশি রান দেওয়ার জন্য তাঁকে ৪০ লাখ রুপি দেওয়ার কথা ছিল জুয়াড়িদের। ঠিক হয়েছিল, নিজের দ্বিতীয় ওভার করার আগে ট্রাউজারের ওপর তোয়ালে রাখবেন শ্রীশান্ত। এরপর ওভারটা শেষ করতে বাড়তি সময় নেবেন, যাতে জুয়াড়িরা যথেষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। সত্যি দেখা গেছে, ওভারের আগে তোয়ালে চেয়েছেন শ্রীশান্ত, এরপর স্ট্রেচিং করাসহ গা গরম করতে অনেকটা সময় নিয়েছেন।
জুয়াড়ি জিজু তখন ফোনে আরেক জুয়াড়িকে বলছিলেন, ওভারে ১৪ বা এর বেশি রান দেবেন শ্রীশান্ত। কিন্তু তিনটি বাউন্ডারি হজম করার পরও ওভার থেকে আসে মাত্র ১৩ রান। তবে এর পরও ওই ওভার থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হয় জুয়াড়িদের। কারণ, সতর্কতার কারণে অনেক সময়ই তাঁরা এক বা দুই রান কম বলে থাকেন। এই জিজুর সঙ্গে একসময় ক্লাব পর্যায়ে খেলেছেন শ্রীশান্ত।
জুয়াড়িদের সঙ্গে শ্রীশান্তের যোগসূত্রও জিজু।
দিল্লি পুলিশের লক্ষ্য ছিল অপরাধজগতের সঙ্গে ক্রিকেটের যোগসূত্র খোঁজা। এ জন্য তারা জুয়াড়িদের ফোনে আড়ি পাতে। জুয়াড়িদের আড়িপাতা ফোনে তিন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ফোনালাপ থেকেই স্পট ফিক্সিংয়ে সন্দেহের সূত্রপাত। সেই সূত্র থেকে মিলেছে তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ।
শত শত ঘণ্টা ফোনালাপের রেকর্ড রয়েছে পুলিশের কাছে। গত এপ্রিল থেকে অনুসরণ করা হলেও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করা হয়েছে এত দিন। পুরো প্রক্রিয়া এতটাই গোপন রাখা হয়েছিল যে গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশকেও কিছু জানানো হয়নি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।