আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০ শিশুর জন্মদিন!



সিডর ও আইলায় বিধ্বস্ত উপকূলীয় জনপদ বরগুনার তালতলীর দুর্গম পল্লী লাউপাড়া গ্রামে পাঁচ হাজার পরিবারের বসবাস। এখানকার ৮০ শতাংশ পরিবার দরিদ্র। দুই বেলা দুমুঠো ভাত জোটাতেই যাদের নাভিশ্বাস ওঠে তাদের জন্মদিন পালন কল্পকথা। অনেক পরিবারের সদস্যরা জানে না জন্মদিন পালন বিষয়টা কী। কৃষি শ্রমিক ইব্রাহীম খানের অভাবের সংসারে ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট রানী বেগমের গর্ভে জন্ম নেয় মো. শাহীন খান।

জন্মের পর কোনো দিনই পালিত হয়নি তার জন্মদিন। জন্মদিন পালন হয় বা করা যায় সে বিষয়টিও বোঝে না শাহীনের পরিবার। শিশুর মৌলিক ও মানসিক অধিকার স্থাপনের জন্য রবিবার সকালে তাঁতীপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এফএইচ (ফুড ফর দ্য হাংরি) বাংলাদেশের অর্থায়নে বড়বগী পরিবার ও সমাজ রূপান্তর প্রকল্পের উদ্যোগে শাহীনের জন্মদিন পালনের সঙ্গে সঙ্গে লাউপাড়া, তাঁতীপাড়া, কবিরাজপাড়া, বড় আমখোলা, সখিনাসহ আশপাশের গ্রামের ২০০ দরিদ্র শিশুর জন্মদিন পালন করা হয় ১০ পাউন্ডের কেক কেটে। হয়তো এসব শিশুর জন্মদিন ১ আগস্ট নয়, তার পরও প্রতীকী হিসেবে ১ আগস্টকে জন্মদিন ধরেই উৎসব-আনন্দের আয়োজন করা হয়। পারিবারিকভাবে শিশুর জন্মদিন পালনে যে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় তা এ অনুষ্ঠান থেকে বুঝতে পেরেছেন পরিবার কর্তা ও গৃহিণীরা।

লাউপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাজিয়ার মা গোলাপজান, পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লালাচানের মা উচানতেনো এবং লাউপাড়া গ্রামের জোচের মা খেচোনান জানান, তাঁরা কোনো দিন শিশুর জন্মদিন পালন করেননি। গোলাপজান বলেন, 'গ্রামের হগোল মানুষ হক্কল সোময় কামাই করার ধান্দায় থাহি। হেইয়্যার মধ্যে পোলাপানের এই অনুষ্ঠান করা মোগো অয় না। এহন দ্যাখলাম এই অনুষ্ঠান করলে পোলাপানের মধ্যে আনন্দ, খুশি বাইর‌্যা যায়। পোলাপানের আনন্দের লইগ্যা কেক না কাইট্টা অইলেও হুদা শিনি্ন বা সেমাই রাইন্না জন্মদিন পালন করমু।

'


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।