আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চ.বি. শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। সকালে ১, বিকালে ২৫ জন গ্রেফতার। আগামীকালও অবরোধ

চোখ খুবলে নেয়া অন্ধকার, স্ফুলিঙ্গ জ্বেলে দাও!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের সমর্থনে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আন্দোলন সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর বিডিনিউজ২৪ ডটকম থেকে নিচে তুলে ধরা হলো- ক্যাম্পাস বয়কট করেছে চবি শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম, আগস্ট ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার অবরোধ কর্মসূচিতে ক্যাম্পাস বয়কট করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন ও মিনিবাসগুলো আটকে দিয়ে বয়কট কর্মসূচী শুরু করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্র্থীরা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টায় এবং পৌনে ৮টায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দুটি শাটল ট্রেন আটকে দেয়। এসময় শাটলট্রেনে থাকা শিক্ষার্থীরাও মিছিলে যোগ দেয়। প্রায় আধঘন্টা আটকে রাখার পর খালি ট্রেন দুটি ছেড়ে দেয় তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গামী বেশ ক'টি মিনিবাস ষোলশহর রেলগেটে থামিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে সকাল ১১টার দিকে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

আটক শিক্ষার্থী মীর নিক্সন বনবিদ্যা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তসলিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। নিক্সনকে আটকের পর আরো প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে স্টেশন চত্ত্বরে ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সভা করে। পরে তারা অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতীকী অনশন শুরু করে।

চবিতে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, আটক ২৫ চট্টগ্রাম, আগস্ট ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। রোববার বেলা ৩টার দিকে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে হটতে ২ নং গেট থেকে জিইসির মোড় পর্যন্ত ৩০টি গাড়ি ভাংচুর করে। সিএমপি'র সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) রেজাউল মাসুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাব থেকে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে ২ নং গেটে এসে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তুশিক্ষার্থীরা যান-বাহন ভাংচুর শুরু করলে ২৫ জনকে আটক করা হয়। এদিকে বেলা ৩টার দিকে ষোলশহর রেল গেটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরমুখী আরো একটি শাটল ট্রেন আটকে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এর আগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টায় এবং পৌনে ৮টায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দুটি শাটল ট্রেন আটকে দেয়।

এসময় শাটলট্রেনে থাকা শিক্ষার্থীরাও মিছিলে যোগ দেয়। প্রায় আধঘন্টা আটকে রাখার পর খালি ট্রেন দুটি ছেড়ে দেয় তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গামী বেশ ক'টি মিনিবাস ষোলশহর রেলগেটে থামিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে সকাল ১১টার দিকে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। আটক শিক্ষার্থী মীর নিক্সন বনবিদ্যা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তসলিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। নিক্সনকে আটকের পর আরো প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে স্টেশন চত্বরে ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে সভা করে। এরপর তারা অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতীক অনশন শুরু করে। বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহার, বহি�কৃত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা- এই তিন দফা দাবিতে পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট মোড়ে টানা ছয় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে রোববারের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। চবিতে সোমবারও অবরোধ, আরো মামলা চট্টগ্রাম, আগস্ট ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সড়ক অবরোধকালে রোববার বিকালে আটক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি নবজ্যোতি খীসা বলেন, যানবাহন ভাংচুরের পর ঘটনাস্থল থেকে আটকদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার এই ১২ জনের নাম জানা যায়নি। এদিকে সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একই দাবিতে অবরোধ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রবাল মজুমদার ও দীপঙ্কর ঘোষ পুলিশের হামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরকই দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে। বেলা ৩টার দিকে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।

এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে হটতে ২ নং গেট থেকে জিইসির মোড় পর্যন্ত ৩০টি গাড়ি ভাংচুর করে। সিএমপি'র সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) রেজাউল মাসুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাব থেকে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে ২ নং গেটে এসে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা যান-বাহন ভাংচুর শুরু করলে ২৫ জনকে আটক করা হয়। এদিকে বেলা ৩টার দিকে ষোলশহর রেল গেটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরমুখী আরো একটি শাটল ট্রেন আটকে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এর আগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টায় এবং পৌনে ৮টায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দুটি শাটল ট্রেন আটকে দেয়। এসময় শাটলট্রেনে থাকা শিক্ষার্থীরাও মিছিলে যোগ দেয়। প্রায় আধঘন্টা আটকে রাখার পর খালি ট্রেন দুটি ছেড়ে দেয় তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গামী বেশ ক'টি মিনিবাস ষোলশহর রেলগেটে থামিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সকাল ১১টার দিকে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। আটক শিক্ষার্থী মীর নিক্সন বনবিদ্যা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তসলিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। নিক্সনকে আটকের পর আরো প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে স্টেশন চত্বরে ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে সভা করে।

এরপর তারা অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতীক অনশন শুরু করে। বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহার, বহি�কৃত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা- এই তিন দফা দাবিতে পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট মোড়ে টানা ছয় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে রোববারের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে শনিবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের আলোচানার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীরা রাত ৮টার পর ষোলশহর ২ নম্বর গেট মোড় ও এর আশপাশের সড়কগুলো থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছিল বলে জানান সিএমপি'র সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) রেজাউল মাসুদ। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিএমপি'র উপ-পুলিশ কমিশনার চবি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাননি।

পরবর্তীতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আন্দোলনের বিষয়টি অবহিত করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রবাল মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুশীল সমাজের অনেকেই আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সব কর্মসূচি পালন করছি। তিনি জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসনের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর চন্দন কুমার পোদ্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্দোলনকারীদের দায়দায়িত্ব আমাদের নয়। ক্যাম্পাসে কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। ক্যাম্পাস পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস শান্ত। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও কিছু ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।