যা কিছু সত্য তা বিশ্বাস করি। বুক আগলে রাখি।
মনে আছে যখন দিল্লীর পাববিল ট্রান্সপোর্টে মেয়েটি গ্যাং রাপড হয়েছিল তখন তাদের মধ্যে কয়েক জন কিশোরও ছিল। বয়সের কারনে তাদের বিচার করা হয়েছে কিশোর আদালতে।
ঐশী যা করেছে বা যা করতে তাকে হয়তো প্ররোচিত করা হয়েছে তার জন্য অবশ্যই সে ধিক্কার পাবার যোগ্য।
আমার দেশের হোমরা চোমরা তথাকথিত আইনজীবীরা কথার মারপ্যাঁচে এটাই জাহির করতে চান যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সব গন্ডমুর্খ আইনজীবী রা কি জানে না ঐশীর বয়সের করানে তাকে রিমান্ডে নেয়া যায় না ?? যে বিচারক রিমান্ডে নেবার নির্দেশ দিলেন তিনি কোন যোগ্যতা বলে বিচারের এজলাসে বসলেন ?? প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। এই হচ্ছি আমরা আর এই আমার দেশের আইনের শাসন !!!
কৈশোর না পেরোনো একটা মেয়ের নেশার জগতে কাছে হার মেনে এত্ত বড় একটা ঘৃন্য কাজ করে ফেলাটা খুব খাটো করে দেখছি না। আর তাকে রিমান্ডে নিয়ে এর থেকেও বড় ঘৃন্য কাজ করে ফেলল দেশের আইন , এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ যখন আইনজীবীদেরই না থাকে তবে আমার মতো আমজনতার কি দশা বুঝুন।
নেশা ড্রাগ মাদকাশক্তির ঘুন অনেক আগেই ধরেছিল এই সমাজে। রাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নিয়েছিল ? ঘুনে খাওয়া কাঠ বাহিরে থেকে বোঝার উপায় নেই তার ভিতর টা এক্কেবারে প্রানহীন নিথর। ওজন চাপিয়ে দিলে কড়মড় শব্দে যখন তা ভেঙ্গে পরে তখনি কেবল বোঝা যায়। ঘুনে ধরা সমাজে্র কোনে বেড়ে উঠা ঐশীরা তাই কড়মড় করে ভেঙ্গে ফেলে ভালবাসার সকল বন্ধন। ঘুনে খেয়ে ফেলা ঐশীদের এই ঘৃন্য কাজ করতে কি রাষ্ট্র প্ররোচিত করে নি ??
ঘুনে খাওয়া ঐশীরা ঘড়ের কোনায় বেড়ে উঠছে।
কয়টা ঐশীকে রিমান্ডে নেবেন ?? আলোর পথ দেখান। কেননা আলোই অন্ধকার তাড়ানোর একমাত্র প্রতিশেধক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।