আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০০% (শতভাগ) উপকারী টিউন। যারা নতুন পিসি কিনবেন তাদের জন্য “মাষ্ট সি” টিউন। বিনা পয়সায় কম্পিউটারের যত্ন নেওয়ার ট্রিক্সসহ মিড বাজেটের কম্পিউটারের একটি পূর্নাজ্ঞ এ টু জেড ইউনিক রিভিউ।(দ্বিতীয় পর্ব)

গত পর্বে মিড বাজেটের মধ্যে দাম ও মানের দিক থেকে বেষ্ট CPU (Central Processing Unit) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাই এই দ্বিতীয় সিক্যুয়েল পর্বে CPU এর বাইরের হার্ডওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত ও ইউনিক উপকারি আলোচনা করব। এই টিউনের প্রথম পর্ব যারা মিস করেছেন তারা দায়া করে সময় নিয়ে পড়তে পারেন। যাতে অনেক গুরুপ্তপূর্ন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছি। আগের লেখাটি পড়তে চাইলে...
আপনি কি একটা মিড-বাজেটের হাই-কনফিগারড কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন ?যা আপনার সকল আশা পূরন করতে সক্ষম ,দাম ও মানের দিক থেকে। এছাড়াও জানতে চান কিভাবে বিনা পয়সায় আপনার সম্পূর্ন পিসির যত্ন নিবেন ? ১০০% উপকারী টিউন।

(প্রথম পর্ব)  

আসসালামু আলাইকুম , কেমন আছেন ? আশা করি ভালো। আমার লেখায় আমি বরাবরই চেষ্টা করি খুবই সহজ ভাষায় ইউনিক আইডিয়া দিয়ে টিউন সাজাতে। এটা আমার আগের টিউনের সিকুয়্যেল। যেহেতু আজকের টিউনটি আমার আগের টিউনের সিকুয়্যেল সেহেতু সঙ্গত কারণেই আমি চেষ্টা করব লেখাটিকে আগের থেকে আরও অনেক সুন্দর করে সাজাতে যাতে প্রিয় পাঠক ভাই-বোনদের ও বন্ধুদের উপকারে আসে। তাহলেই আমার পোস্টের সার্থকতা।

(মনে রাখবেন প্রত্যেকটা সার্থকতাই অনেক ত্যাগ ও সাধনার ফল) এই লেখা টি তে যা উল্ল্যেখ থাকবে তার বেশীরভাই আমার কম্পিউটার বিষয়ক পড়াশোনা বা এ ব্যাবসার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। যারা কম্পিউটার লাইনে ব্যাপক অভিজ্ঞ তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকল যে তারা আমার লেখার যদি কোন ভুলত্রুটি পান তাহলে তা নির্দিধায় ধরিয়ে দিবেন । আশা করছি আপনাদের তথ্যগুলো আমার লেখায় সংযুক্ত করে পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারব। অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল বা অজ্ঞতার কারণে কোন ভুল হলে তার ক্ষমা আমি আগেই চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের পরামর্শ , কটুক্তি , গালি অথবা দোয়া , সকল কমেন্টই সাদরে ও আদরে গ্রহণীয়।

বেশী বাঁচলামি করে আর   আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার সাহস পাচ্ছিনা।
গত টিউনে আমি শুধু CPU নিয়েই আলোচনা করেছিলাম। মুলত সিপিইউ নিয়ে আলোচনা করাটাই আমার ইচ্ছা ছিল। তথাপি সিপিইউ নিয়ে আলোচনা করার পরও সিপিইউ এর বাইরের পার্টস নিয়ে আলোচনার একটা অভাব অনুভব করলাম। হয়ত যারা টিউন টি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন , আমার মতো তাদেরও অভাব অনুভূত হতে পারে।

তবে গত টিউনে মূল যে বিষয়টির প্রতি আমি সচেষ্ট ছিলাম এই টিউনে ও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছি আর তা হল মিড বাজেটের প্রতি।
আজ আমার আলোচনার বিষয় সঙ্গত কারনেই সিপিইউ এর বাইরে যা যা অত্যাবশ্যকীয় তা নিয়ে। তো রেডি হয়ে যান................

মনিটর: বাজারে অনেক ভালো ভালো ব্রান্ডের মনিটর পাওয়া যাচ্ছে। যেমন SAMSUNG , ASUS , VIEWSONIC , AOC , BEN-Q , DELL ইত্যাদি । একটা থেকে আরেকটা কম্পেয়ার করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন (এখানে আমি CRT মনিটর নিয়ে কোন কথা বলব না কেননা এটা অনেক জায়গা নষ্ট করে।

তবে রাফ ইউজের জন্য ও দামের দিক থেকে এটা এখনও বাজার ধরে রাখতে পেরেছে ) । কেউ SAMSUNG বলবেন ,কেউ ASUS , কেউবা অন্য কিছু। কেউ আবার LCD , LED , SQUIRE , WIDE SCREEN ইত্যাদি। আসলে কিছু ব্রান্ড আছে যা বাজারে তুলনামূলক দাম কম এবং মানের দিক থেকেও সন্তুষ্টজনক। আপনি কি কাজে ইউজ করবেন সেটা বিবেচনা করে মনিটর সিলেক্ট করুন।

নরমাল কাজের জন্য ১৯" ইন্চিকেই আমি প্রিফার করছি। এটা দিয়ে আপনি আরামসে দেখা-দেখির কাজ , গেম খেলা সহ অন্নন্য কাজ করতে পারবেন। তবে হাই-এন্ড গেম-গ্রফিক্স ইত্যাদির জন্য হয়ত এর চেয়ে বড় সাইজ আপনি বেছে নিতে পারেন এটা আপনার ব্যাপার। তবে বাজেটের দিক তাকালে ১৯" ইন্চিই বেটার। কেননা বাজারে ১৯" ইন্চি মনিটরের পরের সাইজের মনিটরের দাম গুলো সাধারন চক্রাকারে দাম বৃদ্ধির নিয়ম মানে নি।

বরন্চ তা এক লাফ দিয়ে বেড়ে গিয়েছে। উদাহরণ বশতঃ ১৫" যদি ১৫ টাকা হয় ১৭" -- ১৭ টাকা। এভাবে ১৯" -- ১৯ টাকা কিন্তু সেই হিসাব অনুযায়ী ২২" এর দাম বাইশ টাকা না হয়ে ধরেন হয়েছে ৩০ টাকা। এজন্যই আমি ১৯" প্রেফার করেছি তানা হলে ২২ ইন্চিই নিতে বলতাম। যাহোক এর পর যে ব্যাপারটি লক্ষ রাখবেন তা হল LED ( Light-emitting diode ) প্রযুক্তি।

এই প্রযুক্তিতে একই সাথে বেটার রেজুলেশন , বেটার পিকচার কোয়ালিটি , লোয়ার পাওয়ার ইউজ সহ ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়। (ইচ্ছা করেই সংক্ষেপ করলাম)। বাজারে সম্ভবত কেবলের দিক থেকে দুই ধরনের মনিটর পাওয়া যায় DVI ( Digital Visual Interface ) কেবল সহ আর DVI কেবল ছাড়া। কেবল ছাড়াটার দাম কয়েকশো টাকা কম। তাই বলে আবার ওটা ছাড়াই কিনে নিয়ে আসবেন না।

ওটা দিয়ে আপনি হাই ডেফিনেশন/হাই-এন্ড ভিডিও ( Digital Video Interface) দেখার সুবিধা পাবেন। যা সাথে দেওয়া নরমাল VGA ক্যাবল এ পাবেন না। আরেকটা কথা , অনেককেই দেখি মনিটর ঢেকে রাখেন। যা ভালো নয় কারন মনিটরের ছিদ্রগুলো এতে বন্ধ হয়ে ভেতরকে গরম করে তোলে। যদি কয়েক দিন বন্ধ করে রাখেন তাহলে দিতে পারেন নচেৎ ঢেকে রাখা ভালো নয়।

আর একান্তই যদি ঢেকে রাখার দরকার পড়ে তবে কম্পিউটার সাট-ডাউন করার কিছুক্ষন পরে ঢাকুন , সাথে সাথে নয়। মাঝে মাঝে হাল্কা ও পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা দ্বারা মনিটরের স্কিৃন পরিষ্কার করুন তবে পানির বদলে গ্লাস ক্লিনার দ্বারা পরিষ্কার করুন। মনিটর টেবিলের এমন স্থানে রাখুন যাতে হাল্কা নড়াচড়ায় টেবিল থেকে পড়ে না যায়। কারন LCD   মনিটরগুলো খুবই হাল্কা। কেমন যেনো ফুঁ-তেই পড়ে যাবে।



স্পিকার: কম্পিউটার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্পিকার নির্বাচন ও একটি গুরুপ্তপূর্ন ব্যাপার। যারা সাউন্ডের কোয়ালিটির ক্ষেত্রে কোন রুপ ছাড় দিতে পছন্দ করেন না তাদের মধ্যে আমি একজন। যারা নরমালি বাসায় ব্যাবহাররের জন্য স্পিকার কিনবেন তাদের সাউন্ড সিষ্টেম হয়ত খুব হাইফাই দরকার নেই। আবার একেবারে লোয়ার কোয়ালিটি ও কিনবেন না। অন্তত ওয়েফারসহ(ব্যাস) দুই থেকে চার স্পিকার ওয়ালা স্পিকার কিনুন।

অবশ্যই কেনার সময় ভালো করে শুনে কিনুন। ফুল ভলিয়মে চালিয়ে দেখুন , ফুল ভলিয়ম দেওয়াতে যদি শব্দে কোন খারাপ পরিবর্তন দেখেন বা ফাটাফাটা আওয়াজ দেয় তবে আরেকটু ভালো ব্রান্ডের কিনুন। অনেক স্পিকারের সাথেই বিল্টইন ভাবে সাউন্ড বাড়ানো-কমানোর অপশন থাকে ওটা না কিনে যেটাতে আলাদা সাউন্ড বাড়ানোর জন্য বাড়তি তার দেয়া থাকে সেটা কিনুন (উপরে ছবির মত)। কারন স্পিকার (ওয়েফার/বিটার) মনিটরের কাছে বা হাতের কাছে সেট করলে স্পিকারের চুম্বক অনেক সময় ইফেক্ট করে ফলে মনিটররের রং ও বদলে যায়। এছাড়াও অনেক সময় দুরে স্পিকার রেখে শুনলে ভালো শুনতে পারবেন আর বিট ও ভালো পাবেন।

ভালো ও শক্ত বডি দেখে কিনুন যাতে আছাড়ঁ খেলেও আস্ত থাকে। আরেকটা খুবই গুরুপ্তপুর্ন ব্যাপার হচ্ছে এই যে , অনেকেই ভালো স্পিকার কিনে বাসায় নিয়ে যখন চালান তখন আর দোকানে যেভাবে শুনে খুশি মনে কিনে নিয়ে এসেছেন ওরকম সাউন্ড কোয়ালিটি পান না। এটা কোন সমস্যা নয়। সাউন্ড শুধু ভালো স্পিকারের উপর ডিপেন্ড করে না পাশাপাশি কিছু ভালো মানের অডিও সফ্টওয়্যারের ও আপনার পছন্দ মত সাউন্ড সেটিংসের উপরও ডিপেন্ড করে। এছাড়া যে ফাইলটি আপনি প্লে করেছেন তার মানের দিক ও দেখতে হবে।

আবারও বলছি একটা স্পিকার অনেক অনেক দিন চলে তাই একবারই কিনুন কিন্তু ভালোটা কিনুন। যদি দেখেন স্পিকারের পিছনে তার ছিড়েঁ ঢোকানোর সিষ্টেম আছে তাহলে আরো ভালো। খেয়াল রাখবেন বাসায় যদি তেলাপোকা বা ইঁদুরের উপদ্রব থাকে তাহলে আপনার ওয়েফারের ছিদ্র ওদের টার্গেট হতে পারে। যার ফলে আপনার স্পিকারের তার বা ভিতরে নষ্ট হবার আশংকা থাকে। কারন ওরা আবার অন্ধকার পছন্দ করে।

সো বি কেয়ারফুল।

মাউস: মাউস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে , দেখতে সুন্দর স্টাইলিশটাকে প্রাধান্য না দিয়ে আপনি প্যাডলেস অপটিকাল মাউস কিনুন যা আপনি মাউস প্যাড ছাড়া যেখানে সেখানে ব্যাবহার করে সাচ্ছন্দ বোধ করবেন। এছাড়াও মাঝখানে ডবল ক্লিক করার অপশন সহ কিনুন। এটা অনেক সময় বাচায় আর এটার সর্টকার্ট ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার ইউজ করার সময় অনেক দরকার পড়ে। A4tech মাউস গুলো আমার কাছে এক্ষেত্রে ভালো মনে হয়েছে এটা আছাড়ঁ খেয়ে ও কোন সমস্যা করেনি আমার ক্ষেত্রে।

আর সাইজটাও পারফেক্ট , পুরো হাতে এটেঁ যায়। তবে অন্যন্ন গুলো যাচাইয়ের সুযোগ এখনও হয়নি। ওয়্যারলেস মাউস ও কিনে দেখতে পারেন। হার্ডকোর গেমারদের জন্য গেমিং মাউস। যার দাম একটু বেশী।



কি-বোর্ড: অবশ্যই নরমাল কি-বোর্ড নয়। ভালো মানের টাইপিং করা যায় এমন কিবোর্ড। যা দিয়ে টাইপ করলে আপনার প্রতিটি ক্লিকেই টাইপ হয়েছে এমন অনুভূতি পাবেন সেরকম কিনুন।   অনেক কি-বোর্ডেই একেবারে কি-গুলো মেশানো থাকে ফলে একটা ক্লিক যে কার্যকর হয়েছে তা বোঝা যায়না আবার অনেক গুলো এমনই হার্ড যে একটু চেপে চেপে টাইপ না করলে এ্যালফাবেট মিস করে। যারা লেখালেখি খুব একটা করেন না কিন্তু মাল্টিমিডিয়ার কাজ বেশী করেন তারা ভালো মানের মাল্টিমিডিয়া কি-বোর্ড কিনুন।

সস্তা গুলো এড়িয়ে চলুন। নারমাল গেমিং এর জন্য এসব কি-বোর্ডই যথেষ্ট তবে হার্ড গেমার যারা তারা গেমিং কি-বোর্ড কিনুন।

ইউ-পি-এস: বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিসিটি জনিত প্রবলেমের মত অবস্থায় UPS বা ( Uninterruptible power supply) কম্পিউটার যত্নের সাথে ব্যাবহরের জন্য একটি অতি গুরুপ্তপূর্ন পার্টস। আফ্‌সোস অনেকে এটাকে কম্পিউটারের একটা অংশই মনে করে না আর যারা মনে করে , তারা হয়ত টাকার ভয়ে না হয় , এই কথা ভেবে কেনেনা যে ইলেক্ট্রিসিটি গেলে কি হবে বড়জোর কোন আনসেভড ফাইল সেভ হবে না। ভাই আপনার জন্য সমবেদনা রইলো শুধু এই একটা কারনে না আরো অনেক কারনে।

প্রিয় পাঠক এই একটা ক্ষেত্রে আমি আপনাদের বাজেট বাড়াতে অনুরোধ করবো। তবে কম্পিউটার যেদিন কিনবেন সে দিনই যে এটা কিনতে হবে এমনটা বলছি না। আপনি সময় করে টাকা জমিয়েও কিনতে পারেন। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিসিটি সারা বছর নিয়মিত করে পালাবদল করলেও বছরের এমন একটা সময় আসে যখন অনেক এলাকায়ই ঘন্টায় ঘন্টায় লোড সেডিং দেখা দেয়। তবে VIP এলাকার হালচাল আবার অন্যরকম।

থাক সেদিকে আমরা না যাই। আমাদের দেশের উন্নয়নে উনাদের অবদান অনস্বীকার্য। তো যেকথা বলছিলাম ,UPS এর অভাবে যে শুধু মাত্র কষ্ট করে তৈরি করা আনসেভড ফাইলই হারায় তা নয়। বরন্চ সেই সময় পিছিতে বিশেষ ইলেক্ট্রিক চাপ পড়ে। এতে   আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

কারন অনেক বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি আপ-ডাউন করে যার প্রভাব সরাসরি হার্ডওয়্যারের উপর পড়ে। আপনারা যারা UPS ব্যাবহার করেন তারা জানেন যে এটাতে ফিউজ লাগানো থাকে ফলে অনাকাঙ্খিত পাওয়ার প্রবলেমের সময় ফিউজটি কেটে গিয়ে আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও বছরের সেই বিশেষ সময়ে, যখন আপনি সামান্য একটা দুমিনিট কাজের জন্য পুরো এক ঘন্টা ইলেক্ট্রিসিটির অপেক্ষায় কাটাবেন তখন বুঝবেন প্রয়োজনের সময় অপেক্ষা করাটা কতোটা বোরিং। যাক্‌ এ ব্যাপারেতো আর কম কথা হল না এর পরও যদি কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে চান তাহলে এটা তার একান্ত ডিসিশন আমারা এবার মূল কথায় ফিরি তাহল কিধরনের ইউপিএস আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে কিনবেন !! নরমালি এক ব্যাটারির বা ৬০০ VA বা কিছু প্লাস পাওয়ারের UPS কিনলেই নতুন অবস্থায় ২০-২৫ মিনিটের উপরে ব্যাকআপ পাবেন। কারন LED মনিটর বেশী পাওয়ার খরচ করে না যা আমি আগেই বলেছি।

বাজারে অনেক ধরনের UPS দেখা যায় ,ভালো মানের গুলো কিনুন তাতে যদি সামান্য দাম বাড়ে তাতে কি , আপনি নিশ্চিন্তে ব্যাবহার করবেন এটাই মূল বিষয়। অনেক UPS এ বিপ খুব সব্দ করে হয় যা খুবই বিরক্তকর। তাই হাল্কা সাউন্ডের বিপ ওয়ালা দেখে কিনুন। আমি শুনেছি এমন UPS আছে যেগুলো শুরুতে কিছুক্ষন বিপ দিয়ে আবার বিরতি নিয়ে চার্জ কমে এলে বিপ দেয় এতে বার বার বিরক্তিকর বিপ থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু এখনও কোথায় এমন UPS পাইনি।

তাই সিওরলি জানিনা এটা কতখানি সত্যি!! । তো ৬০০ ভিএ বা এক ব্যটারির UPS গুলোই আমি প্রিফার করছি। কারও যদি এর চেয়ে বেশী ব্যাক-আপ দরকার হয় তাহলে তাকে বাজেট বাড়াতে হবে যা আমার পোষ্টের বাইরের বিষয়। কারন আমি এখানে মিড বাজেটের একটা ফুল পিসি নিয়ে আলোচনা করছি। ভালো ভাবে ব্যবহার করলে একটা ব্যাটারি (২-৩ বছর) অনেক দিন যায়।

তাই একেবারে ব্যাকআপ ফুরিয়ে গিয়ে বারবার বিপ দেওয়ার আগেই আপনি আপনার পিসি বন্ধ করুন। আর ইলেক্ট্রিসিটি আসলে প্রথমে সামন্য সময় চার্জ নিতে দিন। তারপর অন করুন।

ক্যাবল: ক্যাবল নির্বাচন !! ? অনেকের কাছে এটা একটা নতুন বিষয় হতে পারে। আনেকেই হয়ত আমাকে বলবেন এটা আবার মাথা ব্যাথার মত কোন বিষয় নাকি।

হয়ত আপনি ঠিক যে , এটা তেমন কোন গুরুপ্তপূর্ন ব্যাপার না কিন্তু আমি যেহেতু নিজে কম্পিউটার এর বিজনেস করি সেই অভিজ্ঞতা থেকে এছাড়াও পাশাপাশি আপনাদের ইউনিক কিছু লেখা/ট্রিকস (যা আগে এই ব্লগে আসেনি) দেওয়ার জন্য এই সামান্য বিষয়টিকেও ছাড়তে নাঁরাজ। তো , কি সেই ট্রিকস ? মনে করে দেখুনতো আপনারা যারা প্রথম কম্পিউটার কেনেন তখন কতজন বাসার নরমাল মাল্টিপ্লাগ থাকা সত্বেও দামি গুলো কিন্‌তে বাধ্য হয়েছেন। আমার মনে হয় ৫০% ভাগের উপরে হবে এই সংখ্যাটা। কারন কি বলুন তো , কারন হলো আপনি যে কেবল পেয়েছেন তা তিন পিন বিশিষ্ট আর সাইজে খুব ছোট তার। কিন্তু বাসার নরমাল মাল্টিপ্লাগে তো আবার তিন পিনের পয়েন্ট একটা কি দুইটা আর তারও যে কম।

ফলে দামি মাল্টিপ্লাগ কিনতে হয়েছিল আপনাকে। আপনারা আবার ভাববেন না যে আমি দামি মাল্টিপ্লাগের বিপক্ষে। বরং আমি নিজেও দামিটা কেনার পক্ষে কেননা তাতে প্রতিটা পয়েন্টে আলাদা আলাদা পাওয়ার সুইচ থাকে যা অনেক উপকারী এবং ইলেকট্রিক বিল কমানোর জন্য বিশেষ কার্যকরি। "বলেন কি ভাই {ইলেকট্রিক বিল কমানোর জন্য বিশেষ কার্যকরি }"? জ্বি হ্যা ! ব্যাপারটা কেউ না বুঝলে কমেন্ট করবেন তাহলে এক্সট্রাভাবে বিস্তারিত বলা যাবে । এবার আসি মূল পয়েন্টে , বাজারে কেসিং এর সাথে যে কেবল আসে তা মোটামুটি মানের তবে তাতেও কাজ চলে।

কিন্তু একটু ভালো মানের দুই পিন বিশিষ্ট তিন মিটারের পাওয়ার কেবল কিনলে দুর থেকেও আপনি লাইন কানেক্ট করতে পারবেন। যা অনেক সময় ছোট ক্যাবলে হয় না। আর ছোট কেবল আমার বেক্তিগত ভাবে অপছন্দ কেননা তা একই সাথে পাতলা ও অনিরাপদ। তবে আগেই বলেছি কাজ চলে। দুই পিন হওয়াতে যে কোন প্লাগে ইউজ করতে পারবেন।

অনেকেই হয়ই এতদিন জানতেন তিন পিনে তিনদিকে ইলেক্ট্রিক কানেকশন থকে যা ঠিক নয়। আসলে ওটা দেওয়া হয় যাতে তারটি ভালো ভাবে পাওয়ার পয়েন্টে লেগে থাকে আর নড়াচড়া করলে অনেক সময় লাইন পায়না সেজন্য।
আগামী পর্বে ইন্‌শাআল্লাহ প্রিন্টার , গ্রাফিক্স কার্ড , পেন-ড্রাইভ সহ বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস যা নরমালি কম্পিউটারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয় সেসব নিয়ে আলোচনা করবো অথবা কম্পিউটারের সুরক্ষার জন্য অত্যান্ত কার্যকরি সফ্টওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব। লেখা আর দীর্ঘায়িত করব না। সবাইকে ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ....আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং আমার জন্য দোয়া করুন।

শীঘ্রই সবাইকে আবারও আমার পরবর্তী লেখা পড়ার আমন্তন জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
কম্পিউটার এর যেকোন বিষয়ে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট সেকসনে তা বিস্তারিত উল্লেখ করুন........যেহেতু আমি নিজেও কম্পিউটার ব্যাবসা করছি এবং পাশাপাশি অন্যান্ন ব্যাবসার সাথে জড়িত সেহেতু অনেক সময় হয়ত কমেন্টের উত্তর দিতে দেরী হতে পারে কিন্তু সবার উত্তরই ইনশাআল্লাহ দিব। ওহ্‌ আরেকটা কথা , আমি যতটা না হার্ডওয়্যার বুঝি তার চেয়েও হয়ত বেশী সফ্টওয়্যার , ইন্টারনেট বুঝি অর্থাৎ এর উপর টুকিটাকি পড়াশোনা করেছি। সো যদি কোন প্রবলেম ফেস করেন এবং সমস্যার সমাধানে চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হন সেক্ষেত্রে আমাকে আমার মেইলে একবার নক্‌ করে দেখতে পারেন। আশা করি আপনাকে একটা না একটা সমাধানের পথ বের করে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

আমার e-mail : afia.multifarious.biz@gmail.c o m
এছাড়াও নিত্যনতুন তথ্য, দাম, অফার ও লেখার/পোস্টের খবর জানতে আমার ফেসবুকে "কমপ্লিট কম্পিউটার কেয়ার" নামে নতুন পেজ খুলেছি যা একেবারেই  প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। যদি এসকল ব্যাপারে কারও জানার প্রয়োজন পড়ে বা ভবিষ্যতে কোন তথ্যের দরকার হয় তাহলে একটা লাইক দিয়ে আসতে পারেন। লিংক Complete Computer Care Link

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।