আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই দিন ধরে অবরুদ্ধ উপাচার্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে তিনটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটি অংশ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এ অংশটি কাল শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। উপাচার্য বুধবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টানা ৩৭ ঘণ্টা তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। উপাচার্যের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত অপর অংশ আন্দোলনের বিরোধিতা করে কর্মসূচি থেকে সরে আসতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আরেকটি অংশ পদত্যাগ দাবির বিরোধিতা করে উপাচার্যকে তিন মাস সময় বেঁধে দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে। শিক্ষকদের এই ত্রিমুখী অবস্থানের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে উপাচার্য আনোয়ার হোসেন দুই দিন ধরে তাঁর কার্যালয় থেকে বের হতে পারছেন না। সাধারণ শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের অনুসারীদের দুটি উপদল ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের তিনটি উপদলকে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে। উপাচার্যের অনুসারী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ চলমান আন্দোলনকে অযৌক্তিক ও অনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করে অবস্থান ও ধর্মঘট কর্মসূচির বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছে।

বেলা সাড়ে তিনটায় নতুন কলাভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা তাঁদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আহমেদ রেজার নেতৃত্বে ওই শিক্ষকেরা ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র অবস্থান নেওয়া প্রগতিশীল শিক্ষকেরা গতকাল শিক্ষক মঞ্চ ব্যানারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে বেলা একটায় এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা পদত্যাগ দাবির বিরোধিতা করেন। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইনের নেতৃত্বে ওই শিক্ষকেরা এই আন্দোলনকে ক্ষমতার ও স্বার্থের আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

 বর্তমান অচলাবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের ১২ দফা দাবির সব কটি অযৌক্তিক। এই দাবির মুখে তিনি পদত্যাগ করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অবহিত করে একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে আমি বলেছি, যাতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো নিয়ে উনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি যা সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মেনে নেব। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।