আজ পবিত্র শবেবরাত। পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রতিবছর আরবি শাবান মাসের ১৫ তারিখে এ রাত আসে। ফার্সি ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ভাগ্য। বিশেষ এ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা আগামী এক বছরের জন্য মানুষের রিজিক, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণসহ তার সৃষ্ট জীবের ওপর অসীম রহমত নাজিল করে থাকেন বলে এ রাতকে শবেবরাত বা ভাগ্যরজনী বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে শবেবরাত সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পরিচিত।
আজ সূর্যাস্তের পরই শুরু হবে পবিত্র এ রজনী। কাল সূর্যোদয় পর্যন্ত এ রাতের ফজিলত অব্যাহত থাকবে। শবেবরাত সম্পর্কে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নির্দেশ প্রদান করেছেন তা হলো—এ রাতে তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করো এবং পরবর্তী দিনে রোজা রাখো। সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরক্ষণ থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নূরের তাজাল্লি পৃথিবীর কাছাকাছি আসমানে প্রকাশ পায়। তখন আল্লাহপাক বলতে থাকেন—আছে কি কেউ ক্ষমাপ্রার্থী? যাকে আমি ক্ষমা করব, আছে কি কেউ রিজিকপ্রার্থী? যাকে আমি রিজিক প্রদান করব।
আছে কি কেউ বিপদগ্রস্ত? যাকে আমি বিপদমুক্ত করব। আল্লাহপাকের মহান দরবার থেকে প্রদত্ত এ আহ্বান অব্যাহত থাকে ফজর পর্যন্ত। বস্তুত শবেবরাত হলো আল্লাহপাকের মহান দরবারে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ সময়। আল্লাহপাকের নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এ শবেবরাত। অতএব, প্রতিটি কল্যাণকামী মানুষের প্রধানতম কর্তব্য হলো এ সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা।
আল্লাহপাকের ইবাদত-বন্দেগিতে পূর্ণ রাত অতিবাহিত করা। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আল্লাহর রহমত লাভের আশায় বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাতটি অতিবাহিত করে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে এ রাতটি কাটায়। ইবাদত-বন্দেগি ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় রাতটি। বিশেষ করে প্রায় সবাই সাধ্যমত দান-খয়রাত করে থাকেন।
একদিন রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিজদা অবস্থায় ক্রন্দন করতেছিলেন, এমতাবস্থায় হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহ আনহুমা ক্রন্দেনর কারন জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন যে, হে আয়েশা! তুমি জান না আজকে কোন রাত? আজ শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত। এই রাতে আল্লাহ তা’য়ালার দরাবারে যে যা চাইবে সে তা-তাই পাবে। আজ যত পার চেয়ে নাও। হযরত আলী রাদি আল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত আছে, এই দিনে যখন সূর্য অস্তমিত হয় তখন আল্লাহ পাকের নূর সর্বনিম্ন আকাশে অবতীর্ণ হয় এবং বলা হয়- কে আছ গুনাহ মাফ করাতে চাও? কে আছ তার মনের আকাংখা পূরণ করাতে চাও? কে আছ তার রুজী বৃদ্ধি করাতে চাও? কে আছ তার রোগ, শোক, দুঃখ কষ্ট দূর করাতে চাও? এরূপ ঘোষণার সময় যদি কোন বান্দা হাত তুলে মুনাজাত করে, তবে আল্লাহ আয যাওযাল তার মুনাজাত কবুল করে নেন। মুহাম্মাদ ইবনে আলী (আ) বর্ণনা করেছেন, এই রাত শবে কদরের পর সর্বোত্তম রাত।
এই রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে নিজ করুণায় ক্ষমা করেন। তিনি আরো বলেছেন,এই রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করো! কেননা,আল্লাহ তাঁর পবিত্র নামের শপথ করে বলেছেন, তিনি তাঁর কোনো বান্দাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না,তবে শর্ত হলো ঐ বান্দা পবিত্র এই রাতে যদি কোনো গুনাহ না করে। এই সমস্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে শব-ই বরাতের ফযীলত ও গুরুত্ব কত। এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দু রকাত করে মোট ৬ রকাত নফল নামায পড়া উত্তম। নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে।
দু রকাত নামায শেষে করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলায়াত করতে হবে। এই রাতের যে কোন সময়ে ৭টি বরই পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে তা গোছলে ব্যবহার করলে, ঐ বছরে যদি কেউ তার উপর যাদু, বান-টোনা ইত্যাদি করে তাহলে তা, তার উপর আছর বা প্রভাব ফেলবে না। শব-ই বরাত এর নফল নামায ১। দুই রকাত তহিয়াতুল অযুর নামায। নিয়মঃ প্রতি রকাতে আল হামদুলিল্লাহ ( সূরা ফাতিহা) পড়ার পর , ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ শরীফ ( সূরা এখলাছ) ।
ফযীলতঃ প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে। ২। দুই রকাত নফল নামায। নিয়মঃ ১নং নামাযের মত, প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ শরীফ, অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফযীলতঃ রুজিতে রবকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বখসিস পাওয়া যাবে।
৩। ৮ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে পড়তে হবে। নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর , সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফযীলতঃ গুনাহ থেকে পাক হবে , দু’আ কবুল হবে এবং বেশী বেশী নেকী পাওয়া যাবে।
৪। ১২ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে। নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে , ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ। ৫। ১৪ রকাত নফল নামায, দু রকাত করে।
নিয়মঃ প্রতি রকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলতঃ যে কোন দু’আ চাইলে তা কবুল হবে। ৬। চার ( ৪) রকাত নফল নামায, ১ সালামে পড়তে হবে। নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ।
ফযীলতঃ গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভুমিষ্ঠ হয়েছে। ৭। ৮ রকাত নফল নামায, ১ সালামে। নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফযীলতঃ এর ফজিলতে সর্ম্পকে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহুমা এরশাদ করেছেন, “ আমি ঐ নামাজ আদায় কারীর সাফা’য়াত করা ব্যাতিত জান্নাতে কদম রাখবো না।
রোযার ফযীলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোযা রেখেছে, তাকে আমার সাফা’য়াত হবে। আরো একটি হাদীস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোযা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। সালাতুল তাসবীহ হাদীস শরীফে ‘সালাতুল তাসবীহ’ নামাযের অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। এই নামায পড়লে অসীম সওয়ার পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।
হে চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ( তবও ছাড়বোন না)।
নিয়মঃ চার রকাত । প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে। তাসবীহঃ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। প্রথমে দাড়িয়ে চার রকাতের নিয়্যাত করে, ছানা, তা’উয ও তাসমিয়া পড়ার পড়ে ১৫ বার তাসবীহ অতপর, সূরা ফাতিহার পড়ে, যে কোন একটি সূরা পড়ে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পড়ে , রুকুঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, রুকু হতে উঠে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, ১ম সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পড়ে, সিজদা রতঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, সিজদাহ হতে উঠে বসাঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, ২য় সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পড়ে, সিজদারত অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ।
এই ভাবে প্রথম রকাত শেষ করে , বাকি তিন রকাত নামাজ শেষ করতে হবে। তবে এজন্য মসজিদ সাজিয়ে লোকজন একত্র হয়ে এক সঙ্গে সারা রাত ইবাদত করার কোনো প্রয়োজন নেই; বরং মসজিদে শুধু ফরজ ও সুন্নত আদায় করে যার যার ঘরে নফল ইবাদত করা যেতে পারে; বরং, উত্তম তো সেটাই। মনে রাখতে হবে, শবেবরাতের আলাদা কোনো আমল নেই। অন্যান্য দিনের মতোই এর ইবাদত। একেক রাকাতে একেক সূরা নির্ধারিত সংখ্যায় পড়ার সমাজে যে প্রচলন রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আবার কোথাও কোথাও জামাতে নফল নামাজ বা সালাতুত তাসবিহ পড়ার যে রেওয়াজ রয়েছে তারও কোনো ভিত্তি নেই। দু’রাকাত দু’রাকাত নফল নামাজ, তাসবিহ, জিকির, কোরআন তেলাওয়াত, সালাতুত তাসবিহ, সম্ভব হলে দিনি মাস’আলা-মাসায়েল আলোচনা,ধর্মীয় বইপত্র অধ্যয়ন এবং নবীজির (সাঃ) শানে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া -এসবই শবেবরাতের আমল। সম্ভব হলে পুরুষের জন্য কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করা,কবরবাসীদের জন্য দোয়া করাও সওয়াবের কাজ। ঘুম এসে যাবে কিংবা চিৎকার-চেঁচামেচি হবে এ ভয়ে মসজিদে সম্মিলিতভাবে নফল নামাজ পড়া অনুত্তম। ঘরে একাকী যতক্ষণ ভালো লাগে ইবাদত করা উচিত।
এরপর প্রয়োজনে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। নবীজি সাঃ এমনই করেছেন। মনে রাখতে হবে আল্লাহর কাছে কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি বড়। অতএব হুড়াহুড়ি করে উঠবস করে ১০০ রাকাত পড়ার চেয়ে আগ্রহের সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ রুকু-সিজদা করে দু’রাকাত পড়া অনেক ভালো। আর সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই নিজের জন্য, নিজের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সব মুসলিম জাতির জন্য বেশি বেশি দোয়া করবে, তাওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করবে।
বাসার মহিলার এ রাতে যে হালুয়া-রুটি বানাতে ব্যস্ত থাকেন তা একেবারেই অনুচিত। বলা হয় শয়তানই এ রাতে মানুষকে ইবাদত থেকে দূরে রাখার জন্য মানুষকে এসব কাজে ব্যস্ত রাখে। অনুরূপভাবে মসজিদ-মাজারে খিচুড়ি-ফিরনি এসবও বাহুল্য। অনেক জায়গায় তো এসব নিয়ে শোরগোল-মারামারি পর্যন্ত হয়। ইবাদতের রাত কেটে যায় হেলায়-অবহেলায়।
আতশবাজি, তারাবাজি, বোমাবাজি ইত্যাদি যেন না হয় সেজন্য মা-বাবা, এলাকার মুরবি্ব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষভাবে নজরদারি করতে হবে। এছাড়া ইবাদত করার আড়ালে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে কি-না সেদিকেও সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। হাদিসে কয়েক ধরনের লোকের কথা এসেছে। যারা এ রাতেও আল্লাহর করুণা ও দয়া থেকে বঞ্চিত। তাদের মধ্যে হিংসুক, মুশরিক, অন্যায়ভাবে হত্যাকারী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, মদ্যপায়ী, জাদুকর, চাঁদাবাজ, ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণী, সুদখোর ও অত্যাচারী সৈনিক অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, তাদের বেশি করে এ রাতে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতে এসব পাপ আবার না করার দৃঢ়সংকল্প করা উচিত। অনেকে শবেবরাতের পর দিন অর্থাৎ ১৫ শাবান রোজা রাখেন। এটি কেবল একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, তাও দুর্বল। অতএব, তা শবেবরাতের উসিলায় নয়; বরং এমনিতে আরবি মাসের ১৫ তারিখ আইয়্যামে বীয উপলক্ষে রাখা যেতে পারে। সবশেষে কথা হলো, পাপমুক্ত হয়ে রমজান মাসকে স্বাগত জানানোই এ রাতের তাৎপর্য।
অতএব এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে সারারাত ইবাদত ও প্রার্থনায় কাটাতে পারলে তা-ই হবে এ রাতের সঠিক মূল্যায়ন। আলোকসজ্জা, হালুয়া-রুটি আর আতশবাজির মেলা এ রাতের পবিত্রতায় আঘাত হানে। কারণ উৎসব নয়, কেবল প্রার্থনার রাত ‘শবেবরাত’। সতর্কতাঃ মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড়। শব-ই-বরাতের নামাজ যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে কিন্তু সবই শেষ।
অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না। সাবধান এ যেন না হয়। ভাল হয় শব-ই-বরাতের নফল শেষ করে বেতের নামাজ পড়ে এর পর ফজর পড়া। যাই করেন নামাজ পড়েন আর ঘুমান সমস্যা নেই, ঠিক সময় মত উঠে ফজর নামাজ যেন পড়তে পারেন সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও পবিত্র শব-ই-বরাতের নামাজ পড়বার আহবান জানিয়ে শেষ করছি।
সুত্রঃ একাধিক ওয়েব সাইট ও ইসলামিক বই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।