উপকরনঃ কপার শিট আধা ফিট, মাইক্রোমিটার, ক্লিপ ২টা, টিনের কোওটা, লবন, পানি
1. কপার ফ্লাশিং কিনে আনুন বাজার থেকে। ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে খোজ নিন।
2. কপার এবং আপনার হাত ভাল করে পরিস্কার করে নিন।
3. রান্না ঘরে যান তারপর কেচি দিয়ে কপার শিট কাটুন চুলার মাপ অনুযায়ী। নিচের ছবি দেখে ভাল করে বুজে নিন।
4. ইলেক্ট্রিক চুলার উপর কপার শিট টি বসান। (ইলেক্ট্রিক চুলা না থাকলে, রুটি ঘরম করার পাতিলে করতে পারেন, তবে সেইটা যেন কোন অবস্থাতেই ময়লা না থাকে।
5. কপারকে রান্না করুন, কপারটি যখন পরুটা কাল হয়ে যাবে, তখন রান্না শেষ।
6. চুলা বন্দ করে দিন, কাল হয়ে গেলে তার পর ঠান্ডা করুন। সাবধানঃ ঠান্ডা করার পর কপার থেকে কোন কিছু পরিস্কার করবেন না।
নিচের ছবি দেখে ভাল করে বুজে নিন।
7. আরেক খন্ড কপার কাটুন ওইটার সমান করে। ড্রাম অথবা বড় টিনের কোওটা থাকলে, পরিস্কার করে নিয়ে আসুন। কপার ২ টি, টিনের কোওটাতে ডুকান পাশা পাশি। সাবধানঃ ২ টা যেন কোন অবস্থাতেই স্পরশ নাহ করে।
কপার ২টি একটু বাকা করে নিন, যদি লাগে।
8. টিনের কোওটাতে পানি নিন কপার ২ টার গলা সমান করে, তার পর পরিমান মত লবন মিশান। কোওটা ছোট হলে কয়েক চামচ লবন দিলেই হবে। কপার ভিজানোর আগে পানি মিশিয়ে নেওয়া ভাল।
9. এই বার মিটের ক্লিপ দিয়ে কপার ২টা আটকাতে হবে, আর ক্লিপ ২ টার অন্ন প্রান্ত মাইক্রোমিটারে লাগানো থাকবে।
পজিটিব ক্লিপ যাবে নতুন কপারে, আর নিগেটিব ক্লিপ রান্না করা কপারে।
10. এইবার এইটাকে সুরযের আলোতে রেখে দিন। দেখবেন মিটারের কাটা আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে। তার মানে আপনি সুরয থেকে কারেন্ট ধার করে ব্যাটারি বানিয়েছেন। আপনার ব্যাটারি খুব কম পাওয়ারের তাই এইটা দিয়ে আপনি কারেন্ট পাবেন না।
কারেন্ট পেতে হলে, আপনাকে আর বড় কপার লাগবে। নিচের ছবি দেখে ভাল করে বুজে নিন।
11. আপনি যদি উতসাহ পেয়ে থাকেন, তাইলে ব্যাবসায়িক ভাবে চিন্তা করুন। এই ব্যাটারি দিয়ে আপনি বাসায় রান্না, বাতি, ফ্যান চালাতে পারবেন। আবার ব্যাটারি দিয়ে সাইকেল, রিক্সার গতি বাড়াতে পারবেন, এমন কি নোওকা চালাতে পারবেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।