শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে আড়াই ঘণ্টা ধরে কেরির সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জন কেরিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর কেরির সঙ্গে এটাই দীপু মনির প্রথম সাক্ষাৎ।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় মহাসেন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও যেটুকু হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন তৈরি।
সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ শ্রমিকদের জীবনমান ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে এই দুর্ঘটনা শিক্ষা দেবে।
শ্রমিকদের অধিরক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় থাকার কথা জানিয়ে এক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন কেরি।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টিও আসে, যা নিয়ে দুই যুগ ধরে সমস্যাসঙ্কুল বাংলাদেশ।
জন কেরি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা তিনি উল্লেখ করলে দীপু মনি সঙ্গে সঙ্গে তা শুধরে বলেন, নিবন্ধিত ৩০ হাজার।
তখন জন কেরি নিজেকে সংশোধন করে নেন।
মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীর সংখ্যা ৫ লাখের বেশি বলে বাংলাদেশের সরকারি সূত্রগুলো বলে আসছে। এই শরণার্থীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে বলে সরকারের ভাষ্য।
দীপু মনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জন কেরি। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপকে সফল উদ্যোগ বলেও মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এখন খুবই ভালো।
“যে সব বিষয়ে দুই দেশেরই উদ্বেগ রয়েছে, তা কাটাতে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে চাই আমরা। ”
২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডায় প্রচারাভিযানের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জন কেরির সাক্ষাতের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন দীপু মনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাও তাকে পৌঁছে দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ফলপ্রসূ হয়েছে এবং মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দীপু মনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই ঢাকা সফরে যাবেন জন কেরি।
তখন জন কেরি বলেন, তিনি চেষ্টা করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।