আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা ও নবজাতক থাকে মেঝেতে খালি পড়ে থাকে বিছানা



আয়নাল হোসেন শয্যা খালি পড়ে আছে। শয্যার পাশেই মেঝেতে শুয়ে আছেন প্রসূতি মা ও তাঁদের নবজাতক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে তারা মা ও সন্তানকে জায়গা না দিয়ে শয্যা শূন্য রেখেছে। ঘটনাটি পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের। গতকাল রোববার দুপুরে হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ১০ জন মা তাঁদের নবজাতক নিয়ে মেঝেতে শুয়ে আছেন।

অথচ একই কক্ষে আটটি শয্যা শূন্য পড়ে আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মিটফোর্ড হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রসবোত্তর ওয়ার্ডে (পোস্টনেটাল ওয়ার্ড) শয্যা আছে ২৮টি। গতকাল সেখানে রোগী ভর্তি ছিল ৩১ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মা নবজাতক নিয়ে শয্যায় ওঠার সুযোগ পাননি। মিটফোর্ড হাসপাতালের উপপরিচালক আবুল হাসেম খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রসবোত্তর ওয়ার্ডে তিনটি ইউনিট আছে।

২৮টি শয্যা এই তিনটি ইউনিটের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এক ইউনিটের শয্যা অন্য ইউনিটের রোগীকে দেওয়ার বিধান নেই। সব রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হলে মেঝে ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘বিছানা খালি আছে, অথচ রোগী মেঝেতে, আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি খারাপ দেখা যায়। ’ তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা পাল্টানোর উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকেরা এর বিরোধিতা করেছিলেন। বিছানা খালি আছে, অথচ প্রসূতি মাতা ও তাঁর নবজাতককে মেঝেতে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার বেগম প্রথম আলোকে বলেন, সিজার করার পর সাধারণ প্রসূতি মাতাকে তিন দিন পর্যন্ত ভর্তি রাখা হয়। তবে অনেক রোগীকে আরও বেশি দিন রাখা হয়। রোগীর চাপ বেশি থাকায় এক ইউনিটের বিছানায় অন্য ইউনিটের রোগীকে দেওয়া হয় না। কেরানীগঞ্জের শুভ্যাঢা পশ্চিমপাড়ার সালমা আক্তারকে নবজাতক নিয়ে ওই বিভাগের লিফটের কাছে মেঝেতে বিছানা করে দেওয়া হয়েছে।

একই জায়গায় বিছানা দেওয়া হয় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লক্ষ্মীবিলাস গ্রামের সাধন সাহার স্ত্রী মুক্তা সাহাকে। তাঁদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে ওই রোগীদের ওয়ার্ডের ভেতরে নেওয়া হয় সূত্র : প্রথম আলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।