...
ক্লাস থ্রি তে পড়ি তখন। বাংলা ছবি নিয়ে যতই নাক সিঁটকাই না কেন, রবিবার করে ডিডি সেভেন(বাংলা)-এ রবিবার করে সম্ভবত পুরনো ক্লাসিক সসিনেমাগুলো প্লে করত। এরকমই এক রবিবারে অলস পড়ন্ত বিকেলে দেখে ফেলেছিলাম পথে হল দেরি। সেটাই ছিল আমার প্রথম উত্তম কুমার দর্শন(আগেও হয়ত দেখেছি, সেভাবে খেয়াল করিনি, বা তেমন মনযোগ দিয়ে দেখিনি। মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখলাম ছবিটা।
তখন রূপালি পর্দা আর বাস্তবের ফারাক বহুকষ্টেও আলাদা করতে পারতাম না
সেই প্রথমই দাগ কেটে গেল মহানায়কের নায়কোচিত অভিনয়। তার পর থেকে রবিবার তো বটেই, সুযোগ পেলেই জমে যেতাম উত্তমে। উত্তম-সূচিত্রার কালজ্বয়ী জুটিকে মনে হত, এটাই সত্যি, যে একজনের জন্মই বোধহয় অপরজনের সাথে জুটি বাঁধার জন্য। উত্তম বিহীন সুচিত্রার দীপ জ্বেলে যাই তাই পানসেই লেগেছিল। সাথে সাথে প্লেব্যাকের গান গুলোতে ভরাট কন্ঠের হেমন্ত আর শীতল-ঠান্ডা সন্ধা মুখপাধ্যয়ের গান শুনে মনে হত তারাও বোধহয় এই জন্যই নিবেদিত।
একে একে দেখে ফেললাম সাগরিকা, রাজলক্ষি-শ্রীকান্ত, চন্দ্রনাথ, সপ্তপদী, আলো আমার আলো...আরও অনেক।
গত বছর দশেক বোধহয় একটাও দেখিনি, যা দেখেছি, সব এর আগেই।
যেই জিনিসটা অবাক করে, পঞ্চাশ-ষাট-সত্তরের দশকের কলকাতর অভিনেতা এখনও বাঙ্গালির নায়ক।
__________________________
ব্লগিংএর দ্বিতীয় ফেজ চলছে। যে কারণে এই চিকামারা পোস্টার দেয়ালে সাঁটিয়ে আমব্লগারের বিরক্তির উদ্রেক করলাম না।
তাড়াড়া এটা কোনও স্মৃতিচারন নয়, উত্তম কুমারের জীবনপঞ্জী বা অভিনয়জীবনের আলোচনাও নয়। স্বেচ্ছা জেনারেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।