সর্বদা জীবন সংগ্রামে লিপ্ত
আপনি নিশ্চই একটি জিনিস লক্ষ করেছেন যে, মধ্যে মধ্যে আমাদের সময়ই কাটে না আবার মধ্যে মধ্যে অনেক সময় চলে যায় কিন্তু আপনি নিজেও বুঝতে পারেন না যে, গড়ির কাটা এত তাড়াতাড়ি চলচে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কেন এমন হয়? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তবা অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত দার্শনিকরা বিভিন্নভাবে দিয়েছেন। কিন্তু আমি শুধুমাত্র আমার নিজের মতামত প্রদান করব। জানি না এই মতামতটি কতটুকু সত্য। ।
কোন বিষয় যখন সহজেই সমাধান করা যায় তাহলে কেন জটিলতার সম্মুখীন হব? আমি কোন জটিলতাকেই পছন্দ করি না তা হোক কোন বিষয় অথবা হোক কোন মানুষের মনের ধরণ। তবে এই কথাও সত্য যে কখন কখনো এই সব জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে এত আনন্দ পাই যা লিখে বা বলে বুঝানোর মত নয়। আর বলারইবা কী দরকার? আপনাদের বয়সতো কম হল না। যাই হোক অঝতা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করাটাও আমি পছন্দ করি না। ভাবচেন আমি কোন জায়গার প্রসিডেন্ট যে আমার নিজের বিষয়ে এত কিছু লিখছি? না আমি আসলে একটু বাচাল টাইপের ব্যাক্তি।
কিন্তু আপনি চাইলেই আমাকে বাচাল বলতে পারবেন না কেননা এই বাচলভাবটাও আমার মধ্যে হঠাৎ লক্ষ করা যায়।
আর যখন এই বাচাল ভাবটা আমার মধ্যে লক্ষ করা যায় তখন নির্দিধায় বুঝে নিবেন ঘড়ির কাটা যে তার নিজ নিয়মে পরিবর্তিত হচ্ছে সেই বিষয়ে আমার কোন খেয়ালই নেই। এতক্ষণ পর আবার লাইনে আসলাম। একজন মানুষ যদি সাধারণ প্রকৃতির হয় অর্থাৎ তার কথা বার্তা যদি সাধারণ ধরণের হয় তাহলে সে যদি কখনো তার এই সাধারনতার বাহিরে অন্য কোন ধরণের আচারণ করে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সে সেই মূহুর্তে বেশ আনন্দে অথবা কষ্টে রয়েছে তবে সে সাধারন অবস্থায় নয়। তখন হয়তবা তার নিকট মিনিটের পর মিনিট সময় চলে যাবে কিন্তু এই বিষয়ে তার কোন মাথা গামানোই থাকবে না অথবা সেই মূহুর্তে প্রতিটি সেকেন্ড তার নিকট প্রতিটি বছরের সমান।
আমরা এই বিষয়টা জানি যে, আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্ক। আর এই মস্তিষ্কের মধ্যে সাধারণভাবে কিছু উপাদান রয়েছে যা পরিপাশ্বের অবস্থা সাধারণ হল একটি নির্দিষ্ট ধরণের কাজ সম্পন্ন করবে। আর এই সাধারণ কাজ করার ধরণই হল তার স্বভাব। আবার কম্পিউটারে যেমন প্রোগ্রামিং করা রয়েছে অতি উচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করার পর কম্পিউটার নিজে নিজেই রিস্টার্ট হয়ে যায় ঠিক তেমনি মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যেও এমন একটা প্রোগ্রামিং সেট করা রয়েছে যে, কখনো কোন ব্যাতিক্রম ঘটনার সম্মুখীন হলে মস্তিষ্ক এমন কিছু সিন্ধান্ত নিবে যা তার সাধারণ স্বভাবের চেয়ে একটু ভিন্ন।
আবার এই ব্যাতিক্রম পরিস্তিতি দুই ধরণের একটি হল সুখময় অবস্থা অন্যটি হল দুঃখ দ্বারা আক্রান্ত অবস্থা।
মানুষ যখন কোন সুখময় অবস্থায় থাকে তখন সে কী ধরণের আচারণ করবে তা তার মস্তিষ্কে নির্ধারণ করা রয়েছে। আর যখন সে কোন সুখময় অবস্থার সম্মুখীন হবে তখন সে ঐ সুখময় অবস্থাটিকেই তার সম্পূর্ণ মস্তিষ্কে নিয়ে আসবে। আর তখন শুধুমাত্র সেই বিষয়টি নিয়েই চিন্তা ভাবনা করবে। আর এই আনন্দময় মূহুর্তটি যদি খুব বেশী আনন্দময় হয় তাহলে তার মস্তিষ্ক সময়ের চিন্তাটি মাথার মধ্যে নিয়ে আসার কথাই ভুলে যাবে অথবা তার মস্তিষ্কে ঐ সুখময় বিষয়ে এমনভাবে লোড হবে যে অন্য বিষয় মস্তিষ্কে আসার কোন সুযোগই পাবে না। বিষয়টি বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের নিত্য দিনের একটি গঠনার কথা চিন্তা করা যাক।
আপনি অবশ্যই মেমোরী কার্ডের সাথে পরিচিত? বর্তমান সময়ে এমন মানুষ খুজে পাওয়া খুবই কঠিন যে মেমোরী নামটাই শুনে নাই। যারা ব্যবহার করেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে, যখন কোন বেমোরী পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন ঐ মেমোরীতে নুতুন কিছু প্রবেশ করানো সম্ভব হয় না। নুতুন কোন কিছু প্রবেশ করাতে হল অন্য একটি ফাইল ডিলিট করতে হয়। মানুষের মস্তিষ্কের কর্ম অঞ্চলও প্রায় একই ধরণের। সেখানেও প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল যখন পরিপূর্ন হয়ে যায় তখন অন্য কোন তথ্য সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।
যার কারণে সময়ের চিন্তাটা মাথা হতে একদম চলে যায়। আবার যখন ঐ বিষয়ের স্বাদটা কমতে শুরু করে তখন সময়ের কথা ধীরে ধীরে মনে পরে। আশা করি এই বিষটি সবার নিকটই একদম পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি।
আবার আপনি তো অবশ্যই এমন কিছু মূহুর্ত কখনও কখনো পার করেছেন যে, আপনি চাচ্ছেন সময়টা চলে যাক কিন্তু সময় আর যেতে চাচ্ছে না। এখন এর কারণ কী? যখন এমন অবস্থার সম্মুখীন হন তখন এই কথা নিশ্চিত আপনার তখনকার মানসিক অবস্থা খারাপ অর্থাৎ আপনি তখন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।
আর এই কষ্টটি হল মানসিক কষ্ট। কিন্তু আপনি তখন ঐ কষ্ট নিয়ে কোন চিন্তা করছেন না। চিন্তা করছেন কখন সেই অবস্থা হতে মুক্তি লাভ করতে পারবেন। যার কারণে আপনার মস্তিষ্কের অধিকাংশই ব্লগ করে রাখে সময়ের চিন্তা। যার কারণে প্রতিটি সেকেন্ডকে আপনার মস্তিষ্কের নিকট অনেক বিশাল মনে হয়।
আসলে আমাদের মস্তিষ্ক সর্বদা কর্মরত। কম্পিউটার যেমন প্রতি সেকেন্ডের অতি ক্ষুদ্রতম সময়ে তার কার্য সম্পন্ন করতে পারে ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্কও প্রতি সেকেন্ডের চেয়েও ক্ষুদ্রতম সময়ে কার্য সম্পন্ন করতে পারে। আর যখন আপনি অনবরত সময়ের চিন্তা করেন তখন প্রতিটি মিলি সেকেন্ডই আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে প্রবেশ করে। যার ফলে মনে সময় অতিবাহিত হচ্ছে না।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করতে পেরেছি।
যদি পরিষ্কার করতে না পারি তাহলে আমি দুঃখিত। তবে বলে রাখি এই পুরু লিখাটাই আমার নিজস্ব মতামত। এটা কোন দার্শনিকের মতবাদ নয়। তাই এখানে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।