ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
"৭ নভেম্বরের পটপরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে পিটার বললেন, ‘৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বোঝা গেল, জাসদ যেভাবে পরিবর্তনের কথা ভাবছে, বিষয়টা অত সহজ নয়। তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে বন্দী অবস্থা থেকে তাহেরের নেতৃত্বে মুক্ত করার পর দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করল। তিনি একটি জিপগাড়িতে করে ঢাকা শহর চক্কর দিচ্ছেন।
পিটারকে দেখে বললেন, বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে আসেন। বড় সমাবেশ হবে। সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানও সেখানে বক্তৃতা করবেন। এর আগে রেডিওতে সৈনিক বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়া হলো। ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় জাসদের কর্মীরা মিছিল করছেন।
ঢাকার বাইরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ আসছিল। জিয়া রেসকোর্স ময়দানে গেলেন না। রেসকোর্সে কোনো সমাবেশও হলো না। জিয়া দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে ভিড়ে গেলেন। ধীরে ধীরে ক্ষমতা নিজের আওতায় নিতে শুরু করলেন তিনি।
বোঝা গেল, ক্ষমতার লড়াইয়ে তাহের হেরে যাচ্ছেন। এ ধরনের পরিবর্তনের সময় যে ধরনের জনসমর্থন ও বিক্ষোভ হওয়া প্রয়োজন ছিল, জাসদ তা অর্জন করতে পারল না। কর্নেল তাহেরও গ্রেপ্তার হলেন।
পঁচাত্তরের ৮ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পিটারকে গ্রেপ্তার করেন। জেলখানায় নিয়ে আমদানি সেলে নেওয়ার পর সেখানে সপ্তাহখানেক কাটে।
সেখান থেকে নিরাপত্তা সেলে নেওয়া হলো। আগস্টে পিটারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হলো। বলা হলো, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই তরুণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ২১ জুলাই পিটার জেলে বসেই জানতে পারেন কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই রাতে পিটার ঘুমাতে পারেননি।
তাঁর মনে হয়েছে, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সমাজবদলের একজন কর্মীকে হারাল। '
-প্রথম আলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।