উন্নত বিশ্বে গড়ে উঠা চাইল্ড-কেয়ার সংস্কৃতি’র ছোঁয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। সারা দেশেই, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ইদানিং যত্রতত্র গড়ে উঠছে চাইল্ড-কেয়ার সেন্টার।
ছোট পরিবার গড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও এসব পরিবারের মায়েরা অধিকাংশক্ষেত্রেই কর্মজীবি হওয়ার কারণে চাইল্ড কেয়ার বা ডে’কেয়ার সেন্টারগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু তার সাথে সাথে প্রশ্নও উঠেছে, ডে কেয়ার বা চাইল্ড-কেয়ার শিশুর জন্য কতটা কল্যাণকর?
সমাজবিজ্ঞানী বেস্কি এবং স্টেইনবার্গের মতে, শিশুকে দিনের দীর্ঘ একটা সময়ের জন্যে মা থেকে পৃথক করে চাইল্ড বা ডে’কেয়ারে রাখলে তা শিশুর মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, যা অনেকসময় শৈশব অবস্থায় ধরা না পড়লেও পরবর্তীতে পরিণত বয়সে আত্নপ্রকাশ করতে পারে।
গবেষক জিনা ল্যালি’র মতে, শিশুর নিজের আত্নপরিচয়ের বিকাশ, অনুভূতির প্রকাশ এবং নিজস্ব চিন্তার উন্নয়নের জন্য শৈশবে মা বা কাছের মানুষদের তত্ত্বাবধানে থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।
দিনের দীর্ঘ একটা সময় এসব সেন্টারে থাকার ফলে শিশুর মধ্যে জেদ, প্রতিযোগী মনোভাব, নিজের মধ্যে ডুবে থাকার প্রবণতা ইত্যাদি গড়ে উঠতে পারে।
উন্নত বিশ্বে চাইল্ড বা ডে’কেয়ার মনিটরিংয়ের জন্যে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কড়া অবস্থান নেয়া হলেও, বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চাইল্ড বা ডে’কেয়ার সেন্টারগুলো মূলতঃ সম্পূর্ণভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এদের চাইল্ড-সাইকোলজি সহ প্রয়োজনীয় আনুসংগিক কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকেনা। যার ফলে সেন্টারগুলো শিশুর মানসিক ও শারিরীক বিকাশে ভালো কোনো ভূমিকা রাখার পরিবর্তে শিশুর জন্যে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার প্রয়োজনে এগিয়ে আসা দরকার মা সহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের এমন কোন পরিস্থিতি কিছুতেই সৃষ্টি করা উচিত নয় যাতে পরিবার বিভক্ত হয়ে গিয়ে শিশুর জন্য বৈরী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।