জেলখানাতে যাওয়া প্রত্যেক বালেগ নর-নারীর জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয় চালাই, আমরা যা বলবো তাই হবে এ কথা বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তিনি দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। গুরুতর আহতাবস্খায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে পিটিয়ে আহত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ করার আলটিমেটাম দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
আমিনুল ইসলাম হলে ফিরে আসার পর ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা তার ৩৪৮ নম্বর রুমে যায়। রুমে প্রবেশ করেই তারা কোনো কথার সুযোগ না দিয়ে দরজা বìধ করে আমিনুলকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে।
এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা আমিনুলকে বলে, ‘ফকিন্নির পোলা তোর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার নেই, আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয় চালাই, আমরা যখন যা বলব তাই হবে। ’ এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে দরজা-জানালা বìধ করে রুমে অবস্খান করতে থাকে। মারধরের খবর পেয়ে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি অপু গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে বাধা দিলে সভাপতি গ্রুপের ওই ক্যাডারদের সাথে বাগিðতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এ পর্যায়ে তাদেরও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। পরে আমিনুলের আর্তচিৎকারে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, কোনো দোষ ছাড়াই আমাকে মারধর করা হয়েছে। চাঁদার টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহমখদুম হলের প্রভোস্ট প্রফেসর দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি আমি সঠিক জানি না।
হলের আবাসিক ছাত্রকে বহিরাগত ক্যাডার কর্তৃক মারধরের বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্খা গ্রহণ করা হবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।