প্রতারণার দায়ে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধের কারণে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচারের অভিযোগে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমানকে যারা রাতারাতি জিরো থেকে হিরো বানাবার প্রয়াস চালাচ্ছেন তাদের অবহিত করার জন্য ইতিহাসের পাতা থেকে কিছু সংবাদ তথ্য এখানে উল্লেখ করলাম:
জোট সরকারের আমলে মাহমুদুর রহমানের নিয়োগ ছিল অবৈধ
উপদেষ্টা হিসেবে মাহমুদুর রহমানের নিয়োগ ছিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল ছাড়া সংবিধানে এবং দেশের কোন আইনে উপদেষ্টার কোন পদ নেই, নেই নিয়োগেরও কোন বিধান। অথচ বর্তমানে ৪ জন উপদেষ্টা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাও ভোগ করছেন।
সূত্র: ইত্তেফাক -জুলাই ০৬, ২০০৫
জোট সরকার তথা জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের ব্যর্থতার কিছু সংবাদ শিরোনাম:
গ্যাস সরবরাহ বিপর্যস্ত
দেশজুড়ে শুরু হওয়া দৈনিক ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ঘাটতির মুখে শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস রেশনিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০০৭ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত এভাবে রেশনিংয়ের মাধ্যমে সংকটময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলবে।
Ittefaq - October 13, 2005
জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ বিক্ষোভ
সারাদেশে জ্বালানি তেল সঙ্কট অব্যাহত রয়েছে। সঙ্কট আশু সমাধানের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বগুড়ার সান্তাহার শহরে জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি গতকাল সভা, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। সমিতি সান্তাহারে রেলওয়ে হেড লোড জ্বালানি ডিপো পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে শত শত কৃষক গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বিস্তারিত: Ittefaq - February 1, 2006
সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের হুমকি
সারাদেশে জ্বালানি তেল সঙ্কটের খবরের প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুর রহমান বলেন:
"তেল সংকট নিয়ে মিডিয়ার অপপ্রচার রাষ্ট্রবিরোধী"
বিস্তারিত: Ittefaq - February 23, 2006
মাহমুদুর রহমান এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার সমালোচনা করার দায়ে রেহমান সোবহানসহ পাচঁ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! আজ মাহমুদুর রহমান নিজেই একই পরিস্থিতির স্বীকার।
মাহমুদুর রহমানের সমালোচনা করার দায়ে রেহমান সোবহানসহ পাচঁ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা
সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানের দায়ের করা এক মামলায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। মাহমুদুর রহমান গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির হয়ে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারা অনুসারে এ মামলা দায়ের করেন।
সরকারীভাবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে। অন্যরা হলেন ডঃ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ডঃ এম সাইদুজ্জামান, রেহমান সোবহান এবং লায়লা কবীর। গতকালই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। মামলার ঘটনার বিবরণে বলা হয়, “গত ৮ আগস্ট সিপিডি কার্যালয়ে আসামিগণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর, অসম্মানজনক, কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক, বিভ্রান্তিমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন মন্তব্য ও বক্তব্য পরিবেশন করেছেন।
সূত্র: ইত্তেফাক, আগস্ট ১০, ২০০৬
সরকারি আমলাদের নিয়ে মাহমুদুর রহমানের উত্তরা ষড়যন্ত্রের কথা জাতি এখনো ভুলে নাই!
মাহামুদুর রহমানের সাথে হিজবুত তাহবিরের সম্পর্ক থাকার সম্ভবনাও নাকোচ করে দেওয়া যায না!
যাই হোক, মাহমুদুর রহমানের এসব ঘটনায় আজ বড় বেশি মনে পড়ছে জোট সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগে মুনতাসীর মামুন, মহিউদ্দিন আলমগীর, শাহরিয়ার কবিরসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ও নির্যাতনের কথা। ইতিহাসের শিক্ষা আমরা গ্রহন করি না, তবে পল্টিবাজ, টাউট ও লম্পট রাজনীতিকদের চেনার জন্য আমাদেরকে ইতিহাস-সচেতন হতে হবে। অন্যথায় সময়ের সুযোগে মীর জাফর এসে সিরাজদ্দৌল্লার পার্ট করবে। সংবাদপত্র ও সকল মিডিয়ার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই কাম্য, তবে মত-প্রকাশের স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করে কোন টাউট-ধান্ধাবাজের জিরো থেকে হিরো হওয়ার অপচেষ্টা সমর্থন করি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।