আজ প্রয়াত জননেতা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ৯৭তম জন্মদিবস। ১৯১৪ সালের ৮ই জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গত ১৭ই জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
তাঁর অম্লান স্মৃতিকে মনে রেখে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভবনে প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর পূর্ণাবয়ব তৈলচিত্রের আনুষ্ঠানিকভাবে আবরণ উন্মোচন করবেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চ্যাটার্জি। তারপর বিধানসভা ভবনেই প্রথম জ্যোতি বসু স্মারক বক্তৃতা দেবেন সোমনাথ চ্যাটার্জি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষ কে রহমান খানসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। জ্যোতি বসুর প্রতিকৃতিটি এঁকেছেন প্রখ্যাত শিল্পী ওয়াসিম কাপুর।
বিধানসভায় তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজ। বিধানসভার অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিম জানিয়েছেন, ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে জ্যোতি বসুর অবদান বিরাট। সারাদেশেই তাঁর এই অবদান স্বীকৃত।
জ্যোতি বসু স্বাধীনতার আগে থেকে, প্রথমবার ১৯৪৬ সালে এই বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। তারপর বাহাত্তরের জুয়াচুরি নির্বাচন ছাড়া তিনি দীর্ঘসময় একটানা এই বিধানসভার সদস্য ছিলেন। রাজ্য বিধানসভা তাই তাঁর জন্মদিবস উপলক্ষে এই কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
জ্যোতি বসু সব সময় একথা বলতেন: ‘‘মানুষ, একমাত্র মানুষই ইতিহাস রচনা করে। এটা ঠিকই যে মানুষ কখনো কখনো ভুলও করে।
কিন্তু নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষের জয়ই অবশ্যম্ভাবী। ’’ মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম বিশ্বাসই তাঁকে অবিস্মরণীয় এবং কিংবদন্তী জননেতায় পরিণত করেছিল। জ্যোতি বসুর জন্মদিনে সেকথা আমাদের স্মরণে রাখতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।