আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'মা' নামটি মা এর মতই মহান । মা এর তুলনা মা নিজেই।



শিশু সামিউলকে একাই অপহরণের পর হত্যা করার কথা জানিয়েছেন শিশুটির মায়ের বন্ধু শামসুজ্জামান আরিফ। দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নতুন এ তথ্য এবং হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর বিবরণ দিয়েছেন। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির গতকাল সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। পরে বিকেলে শামসুজ্জামান আদালতে দ্বিতীয় দফায় ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা বলেছেন বলে উপকমিশনার জানান। আদালতে এর আগের জবানবন্দিতে শামসুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শিশুটির মা আয়েশা হুমায়রা জড়িত বলে জানিয়েছিলেন।

শামসুজ্জামানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলবার রিমান্ডে আনে আদাবর থানার পুলিশ। গতকাল জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামানের দেওয়া তথ্য উপকমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল গতকাল দুপুরে আদাবর থানায় বসে সাংবাদিকদের জানান। উপকমিশনার বলেন, বাসায় আসার কথা বলে দেবে—এমন হুমকি দেওয়ায় সামিউলকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন শামসুজ্জামান। ঘুমের বড়ি গুলে জুসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।

পরে লাশ বস্তায় ভরে নবোদয় হাউজিংয়ের ৯ নম্বর সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দেন। এসব কাজ একাই করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের এই বিবরণ দিতে দিতে উপকমিশনার কেঁদে ফেলেন। আদালতে জবানবন্দির একই ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার আসামিকে রিমান্ডে আনা প্রসঙ্গে উপকমিশনার বলেন, ওই জবানবন্দিতে অনেক তথ্যের গরমিল ছিল। আয়েশার সহায়তায় হত্যাকাণ্ড ঘটানোর তথ্যও ঠিক নয়।

জবানবন্দিতে অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। রিমান্ডে থাকা আয়েশা ও শামসুজ্জামানের স্ত্রী নাদিরা জামান সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আমরা এতদিন শুধু শুধু না জেনে মা আয়েশা সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছি, কিন্তু মা তো মা -ই তাই না? এর কেনো তুলনা হয় না...........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।