তোদের পেটে কত ক্ষিধে ? এবার ভর্তুকির ট্রাক্টরও খাওয়া শুরু করে দিলি ? প্রিয় পাঠক, এটাই হলো আমাদের নেতা ও পাতি-নেতাদের চরিত্র। গদি পাল্টালেও এদের চরিত্রের কিন্তু বিন্দুমাত্র এদিক-সেদিক হয় না। ৭ জুলাই, ২০১০ ইং-এর দৈনিক প্রথম আলো তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ভর্তুকির ১৮ ট্রাক্টর নেতা ও আত্মীয়দের নামে' শিরোনামে খবর পরিবেশন করেছে যে রংপুরের বদরগঞ্জে কৃষকদের ভর্তুকিতে দেওয়া ১৮টি ট্রাক্টর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পৌর মেয়র, ইউ পি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের নামে। উপজেলা কৃষি বিভাগ কি করে এ ধরণের তালিকা প্রকাশ করলো তার যথাবিহীত তদন্তের প্রয়োজন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক বলেছেন যে সরকারীভাবে ভর্তুকিতে দেওয়া ট্রাক্টর তার নামে বরাদ্দ হয়েছে কি না তা তিনি জানেন না।
তবে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি তা নেবেন না। কুতুবপুর ইউনিয়নের কৃষক মোস্তাক চৌধুরী ট্রাক্টর বরাদ্দ পেতে ৬ জুলাই, ২০১০ইং মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। কৃষি কর্মকর্তা তার অপারগতা প্রকাশ করলে ওই কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে ট্রাক্টর যাদের দেওয়া হয়েছে, তারা কেউই কৃষক নন। তিনি কৃষক অথচ তিনি তা পাবেন না কেন ? আমরুলবাড়ী আসমতপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে ট্রাক্টর দেওয়ার কথা শুনে তিনি কয়েকদিন অফিসে ঘোরাঘুরি করেছেন কিন্তু অফিস থেকে তাকে বলা হয়েছে যে ফরম নাই। বিষ্ণুপুর এলাকার কৃষক রেজওয়ান কবির বলেছেন যে তিনি কষ্ট করে ফরম জোগাড় করে অফিসে জমা দিয়েছিলেন।
এখন শুনেছেন যে তার নামে কোন ট্রাক্টর আসে নাই। উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সরকার বলেন যে তার ভাইদের নামে জমি থাকা সত্ত্বেও অন্য কোন কৃষক যদি ট্রাক্টর নিতে চান, তাহলে তিনি তার ভাইদের নামে বরাদ্দ বাতিল করে তাকে সেই ট্রাক্টর দিয়ে দেবেন।
তদুপরি দেখা যায় যে ৮৭টি আবেদনপত্র ঢাকায় পাঠানো হলেও বরাদ্দ পাওয়া গেল মাত্র ১৮টি। স্বভাবতঃই এ নিয়ে কাড়াকাড়ির দৃশ্য ত দেখাই যাবে। প্রতিটি সরকারই যে কোন ঘোষণা দেয় ঢাকডোল পিটিয়ে কিন্তু তার বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে দেখা যায় পর্বতের মূষিক প্রসব।
এ ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন মহল যদি সতর্ক না হয়, তাহলে সরকারের গৃহীত প্রতিটি পরিকল্পনাই মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।