আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেড় বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়ংকর ছাত্রলীগ: ১৪ খুন, তিন শতাধিক সংঘর্ষ, অসংখ্য চাঁদা-টেন্ডারবাজি ও ভর্তিবাণিজ্য



রক্তয়ী সংঘর্ষ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে গত দেড় বছরে দেশের শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের হাতে খুন হয়েছে ১৪ জন মেধাবী। দখলবাজি ও প্রতিহিংসায় উম্মত্ত হয়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন প্রতিপক্ষকে ক্যাম্পাস ছাড়া করে এবং জড়িয়ে পড়ে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই অর্ধশতাধিক অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত সোমবার ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ এবং এতে শিক্ষকসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র আহতের ঘটনা দু’দিন ধরে গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম। গত দেড় বছরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন তিন শতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময়ে সাংগঠনটির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থেকেছে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯টি মেডিকেল কলেজসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রাণ হারিয়েছে ১৪ মেধাবী। অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী সিরাজুল ইসলাম সুমনের ছবি ছিল ২০০৯ সালের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন সমর্থিত আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতা সজীবের ওপর হামলা চালায় একই হলের ছাত্র ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী এমিল। পরে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা সংগঠিত হয়ে আল বেরুনী হলে হামলা চালায়।

সংঘর্ষ চলাকালে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রলীগের শাখা কমিটির ওপর কেন্দ্রীয় কমিটির, আবার কেন্দ্রীয় কমিটির ওপর আওয়ামী লীগের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। চাঁদা ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের ধরে কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিই তিন দফায় স্থগিত, একাধিক নেতাকর্মীকে বহিস্কার ও কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনটির কর্মকাণ্ডে অসন্তষ্ট হয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তাতে থামেনি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উউচ্ছৃংখলা।

ভর্তি বাণিজ্য, ছাত্রী উত্ত্যক্তসহ নানা ইস্যুতে ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিনিয়তই সংগঠনটি হামলা, সংঘর্ষ, নির্যাতন, হত্যা-খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। গত ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হলেও ২ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া ছাত্রলীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এতে সংগঠনটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখলায় আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল জরুরী প্রেসিডিয়াম সভা আহ্বান করে এবং সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সভা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের হুশিয়ার করে দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পরের দিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্রলীগ যদি ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাস, টেন্ডার ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে সরকার বিব্রত হয়। ’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যে-ই জড়িত হবে, তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ১৬ মাসে ১৪ ছাত্র খুন : মহাজোটের গত দেড় বছরে ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনে ১৪ ছাত্রকে হত্যা করেছে। ক্ষমতার প্রথম মাসে ২০০৯ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহীম রনিকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রলীগের রক্তচোষা শুরু করে। ১০ মার্চ জামালপুরে শিবির নেতা হাফেজ রমজান আলী, ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরীফুজ্জামান নোমানীকে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা।

ওই বছর ৩০ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদকে একই সংগঠনের প্রতিপক্ষরা হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু বকরকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রলীগ ২০১০ সালের রক্ত ঝরানো শুরু করে। এফ রহমান হল ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু বকর মারা যান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ জানুয়ারি সিট দখলকে কেন্দ্র করে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মহাজোটের অংশীদার ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র মৈত্রীর নেতা রেজানুল ইসলাম চৌধুরী সানিকে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র মহিউদ্দিন, ২৯ মার্চ মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন অর রশীদ ও ১৬ এপ্রিল হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. আসাদুজ্জামানকে ছাত্রলীগ কুপিয়ে হত্যা করে।

এভাবে আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা-উপজেলা শাখা বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যা করে তারা। জাবিতে অর্ধশত সংঘর্ষ: মতার প্রথম বছরে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশী উচ্ছৃগ্ধখলা ছড়িয়েছে জাহাগ্ধগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক বছরে ছাত্রলীগের মধ্যে প্রায় অর্ধশত হামলা-সংঘর্ষ হয় এ ক্যাম্পাসে। এতে গুলিবিব্দ হয় কমপক্ষে ১৫ জন। আহত দেড় শতাধিক, গ্রেফতার ১০ ও বহিষ্কার হয় ১৫ জন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করার পর সভাপতি-সেকেদ্ধটারী (সোহেল-জনি) গ্রুপের নেতাকর্মীরা এক বছর বাইরে অবস্থানের পর ১৪ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এসময় সোহেল-জনি গ্রুপ এবং আজিবুর-অয়ন গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এসময় তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। চারদিন ধরে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এসময় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫০ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রথমে জাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম এক মাস স্থগিত করে এবং পরে ক্যাম্পাসে সংগঠনটির পুরো রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি মওলানা ভাসানী হল থেকে ৩ টি রিভলবার ও একটি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ। শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মওলানা ভাসানী হল ও বিশমাইল এলাকা থেকে ১১ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ৩ মার্চ মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয় ২০ শিক্ষার্থী।

এসময় হলে গণডাকাতির দায়ে ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সংঘর্ষে জড়িত ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ১৫ ও ১৯ মার্চ শহীদ সালাম মওলানা ভাসানী ও শহীদ সালাম বরকত হল হলের ১০ ছাত্রকে শিবির সন্দেহে ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ১৯ ও ২০ এপ্রিল মীর মশাররফ হোসেন হল ও মওলানা ভাসানী হলের মধ্যে দুটি সংঘর্ষে ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ২৬ এপ্রিল পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগ কমীরা ২ সাংবাদিককে লাঞ্চিত করে।

ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপরাধে ৪ জুলাই কর্তৃপক্ষ চার ছাত্রলীগ নেতাকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের বাইরে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের রিগান-পলাশ গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থানকারী সাধারণ শিক্ষার্থীসহ প্রিতম-সাব্বির গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে ২৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত তন্ময় খান বাদী হয়ে সাভার থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে ৬ মাসের জন্য সাময়িক বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের একক আধিপত্যের কারনে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেনা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। চাঁদা ও টেন্ডারবাজি: ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তালিকা করে চাঁদাবাজি শুরু করে। তারা ৭/৮টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন স্হাপনায় হানা দেয়। কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা একত্রিত হয়ে হাকিম চত্বরে নির্মিতব্য ‘পার্সিয়ান কালচারাল সেন্টার’-এর ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের উন্নয়ন কাজে চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।

টিএসসির ফুড কর্নার থেকে দু’দফায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেয় ছাত্রলীগ নেতারা। আরো চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রলীগ নেতারা তদবির করে ভিসি ও কোষাধ্যরে মাধ্যমে নোটিশ করিয়ে টিএসসি ফুড কর্নার বন্ধ করে দেয়। সরকারের প্রথম তিন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮১ ছাত্রদল ও ২৫ শিবিরকর্মীকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা। ক্লাস/পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ভিন্ন মতাদর্শী অনেক ছাত্র। আবেদন করা সত্ত্বেও তাদের নিরাপত্তা দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম একাধিকবার সাংবাদিকদের কাছে নিজের অপরাগতা ও অসমর্থের কথা স্বীকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাহাতের হাতের রগ কেটে দেয় নিজ সংগঠনের প্রতিপক্ষরা। ভর্তিবানিজ্য: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের টাকা আয়ের অন্যতম উৎস ছিল বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ ভর্তি বানিজ্য। কোথাও দলীয় সমর্থক অধ্যদের অবৈধ সহযোগিতা, আবার কোথাও অস্ত্রের মুখে চাপ সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ নেতারা রাজধানীসহ দেশের সরকারি কলেজগুলোতে ২০০৮-০৯ সেশনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তিতে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে। এক্ষেত্রে সরকারও তাদের সহযোগিতা করে।

রাজধানীর ইডেন, ঢাকা, তিতুমীর, কবি নজরুল, বদরুনেসা, সোহরাওয়ার্দী ও মিরপুর বাংলা কলেজে দু’সহস্রাধিক আসনে ছাত্রলীগ নেতারা টাকার বিনিময়ে ভর্তি করায়। অবৈধ ভর্তিতে রাজি না হওয়ায় ১৫ মার্চ ইডেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা খায়রুননেসাকে ওএসডি এবং ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সাইখুল ইসলামকে যশোর এমএম কলেজে বদলি করা হয়। newsbnn.com

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।