ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
কোন একটি বিশেষ এলাকার যিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনিই তো জনপ্রতিনিধি। অর্থাৎ কোন জনপ্রতিনিধিকে ঐ এলাকার এক জন বাসিন্দা হতে হবে। ঐ এলাকার সবার পক্ষে তো আর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব নয় ।
তাই এলাকার জনগণ তাদের মধ্য থেকে এক জন প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদে পাঠান। এটাই হল সারকথা।
নোয়াখালীর কিংবা পঞ্চগড়ের কোন নেতা যদি বগুড়ার কোন কোন আসনের এমপি হয়ে যান সেটা হয়তো প্রচলিত আইনে বৈধ কিন্তু তার নৈতিক মান কতটুকু? বগুড়ার কোন একটি আসনের এমপি নিশ্চয়ই ঐ এলাকার কোন ব্যক্তিরই হওয়া উচিত। সেটা নিশ্চয়ই এমন ব্যক্তির হওয়া উচিত যিনি ঐ এলাকার নাগরিক এবং ভোটার। কিন্তু বাংলাদেশের নেতারা সুকৌশলে জনগণকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেন।
যাকে এলাকার সাধারণ মানুষ চিনে না, এলাকায় যার কোন বাড়ি-ঘর নেই, ঠিকানা নেই তিনি কি করে এলাকার মানুষের প্রতিনিধি হতে পারেন? আপনারা বলুন, এটা কি কোন সঠিক কাজ?
১/১১ ,২০০৭ এর আগে এক জন ইচ্ছে করলে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ৫ টি আসনে নির্বাচন করতে পারতেন। এখন বোধ হয় কমিয়ে ৩ টি করা হয়েছে। এটা আরো কমিয়ে ১ টি করা উচিত। কেউ যদি ৫ টি আসনে নির্বাচন কর ৫ টিতেই জিতেন তাহলে তিনি ৪টি ছেড়ে দিয়ে ১ টি রাখবেন। বাকি আসনগুলিতে আবার নির্বাচন হবে।
দেশের টাকার অপচয়ের কি মহা উৎসব! যেহেতু কেউ ১টির বেশী আসেনর প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না তাহলে কেন দেশের টাকা নষ্ট করে একাধিক আসেন নির্বাচন করতে যান?
তাই আবার প্রস্তাব, যে যে এলাকার লোক সেই এলাকার বাইরে নির্বাচন করতে পারবেন না। অর্থাৎ তাকে নির্বাচন করতে হলে সেই এলাকার ভোটার হতে হবে।
আর একজন একটির বেশী আসেন নির্বাচন করতে পারবেন না। জনপ্রিয়তা থাকলে জিতবেন, নইলে বাদ। দেশের টাকা নষ্ট করে এমপি হতেই হবে এটা কোন কথা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।