কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চালিয়া গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের একটি মন্দির ও শ্মশানের প্রায় চার শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে পৌর এলাকার দেওড়া গ্রামের আবুল কাশেম। (দৈনিক প্রথম আলো, ৬ জুলাই, ২০১০ ইং)। চালিয়া গ্রামের জমিদার জীবন মজুমদার বাংলা ১৩২০ সনে সালিয়া মৌজার ৩৫১ ও ৩৫৫ নম্বর দাগে ওই মন্দিরটি স্থাপন করেন। এ জমিতেই একটি শ্মশানও আছে। মন্দিরের পাশের এক খণ্ড জমির ক্রয়সূত্রে মালিক পৌর এলাকার দেওড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেম।
গত ২৩ জুন, ২০১০ইং কাশেমের নির্দেশে তার ভাগিনা হাবিব, কেফায়েত, রশিদ ও ছেলে বাহার সহ ৮-১০ জন মন্দির ও শ্মানের প্রায় অর্ধেক জমি খল করে নেয়। খোশবাস (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে কাশেমের ভাগিনাদের ওই জমির দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। '
প্রশ্ন হলো, চিত্রটা যদি উল্টো হতো ? যদিও তা কস্মিনকালেও হবে না। কারণ প্রতিটি হিন্দুই কবর ও শ্মশান, মসজিদ ও মন্দিরকে সমান সম্মানের চোখেই দেখে থাকে।
এদেশে দেলওয়ার হোসেন সাঈদী-র মত আরো কিছু কিছু লোক আছে, যারা কথায় কথায় ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে তথাকথিত জেহাদ ঘোষণা করে।
এই চিত্রটা উল্টো হলে ঐ সাঈদীদের ভূমিকা কি হতো, ভাবা যায় কি ?
আমরা কি পারি না এ ধরণের লোভ থেকে উর্ধ্বে উঠে সকলকে পাশে নিয়ে একটা সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়তে ? এ ব্যাপারে দায়টা কিন্তু বর্তায় মুসলমান ভাইদের উপরেই। এখানে যে যাই করুক না কেন, এটা নিশ্চিন্ত যে শেষ বিচারের দিনে ঐ কাশেমদের মত তথাকথিত মুসলমানের জন্য রসুল আদৌ সুপারিশ করবেন না। ভুলে যাবেন না লালন ফকিরের সেই গানের কলি, পরের জায়গা, পরের নারী, হরণ করো না, পারে যেতে পারবে না। '
তাছাড়া হাদিসেও আছে, যার হাত থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে খোদাতালারও দুষমন।
সুতরাং এসব মাথায় রেখে সবাই চলতে পারলে এ সমাজ একদিন সুখী হতে পারবে নতুবা সবই গুড়ে বালি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।