তরকারি নাই বাসায়। আম্মাও বাসায় নাই। কি খাইবো? প্রচন্ড খিদা লাগছে। ভাবলাম ডিম ভাজি করি। ডিম ভাজা যে খুবই সোজা সে কথা তো জানাই।
কিন্তু আমার জন্য সে যে কি কঠিন সময় এলো , বুঝলাম।
ডিম হাতে নিয়েই ভাবলাম, একটু কায়দা করে ভাজলে কেমন হবে?
প্রথমে চুলা জ্বেলে হাতে একটি ডিম নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। পাশেই তোয়ালেটা কোমরে শক্ত করে বেঁধে নিলাম। কি আশ্চর্য ... ডিমটি তো ভাঙ্গবো। তারপর যেনো কি?
কিকি লাগবে ভেবেই পাচ্ছিনা।
যাই হোক ভাবলাম...কয়েকটি আলু কাটি।
আলু নিয়েকুচিকুচি করে কেটে ফেললাম । তারপর সে আলু আর ধোয়া হয়নি । তাতে মাখালাম লবণ। এরপর চুলায় কড়াই রেখে তাতে তেল দিয়েআলু গুলো ছেড়ে দিলাম।
কিন্তু ডিম নিয়ে কি করি। ডিম একটি বাটিতে ভাঙলাম। তাতে মরিচের গুড়া, লবন,হলুদ,রসুন সব মিশিয়ে দিলাম। ..আল্লাহ ভরসা।
এদিকে আলু প্রায়পোড়াপোড়া হয়ে আসল।
বিসমিল্লাহ বলে ঢেলে দিলাম। ডিমের মিশ্রণ।
তারপর.........................................................................
যা হবার তাই হলো... খই বা পপকর্ণ এর মতো তৈরি হলো আজব এক বস্তু । অবশ্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বলা চলে। কিন্তু লবন দুবার দেয়ার একটু বেশিই হয়ে গেলো।
আপনারাই বলুন সেদিন কি আমি ডিম ঠিক ভাজতে পেরেছিলাম। না খেতে পেরেছিলাম।
তারপর থেকে আমি খুব ভালোই ডিম ভাজতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।