"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে", "এ্যান্টি ব্লগারদের ঘৃণা করুন", "দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন", "অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন", "প্রয়োজনে তাদেরকে ব্লক করুন"
ডেনমার্ক : বিশ্বের যে সমস্ত দেশ ইসলাম ও মুসলমানদের তাদের শত্র“ মনে করে, তাদের মধ্যে ডেনমার্কের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আপনারা নিশ্চয় ভুলে যান নি, এই ডেনমার্কের একটি পত্রিকাতেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাঙ্গাত্নক কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল। তবে আশার কথা এই যে, সে দেশেই মুসলমানগণ তাদের নবজাতকের নাম “মুহাম্মদ” রাখার জন্য সবচেয়ে আগ্রহী। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রচন্ড চাপ ও পরিচয় নিয়ে প্রায় নিশ্চিত সংকটে পড়ার সমস্যা নিয়েও ডেনমার্কের মুসলমানদের নবজাতকের নাম “মুহাম্মদ” রাখা হচ্ছে।
ওমরান খারওয়াত নামের ডেনিস মুসলিম ইসলাম অনলাইনকে জানায়, “আমার স্ত্রী ও আমি আমার ছেলে ও মেয়েদের নাম ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক রাখার জন্য একমত হয়েছি, যাতে তাদের ব্যক্তিত্বে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
”
তার কনিষ্ঠ মেয়ের নাম রাসুল (সাঃ) এর স্ত্রী আয়েশার নামে নামকরণ করেন তিনি। ওমরান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মেয়েটি যখন বড় হয়ে উঠবে, তখন সে এই নামের জন্য গর্ববোধ করবে এবং হযরত আয়েশার মতো নিজের জীবনকে সুশোভিত করতে কঠোর পরিশ্রম করবে।
স¤প্রতি ডেনমার্কের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে “মুহাম্মদ”, “আহমদ”, “ফাতিমা” এবং “আয়েশা”র মতো নাম সর্বাধিক পছন্দের তালিকায় রয়েছে। মুসলমানেরা তাদের বাচ্চাদের এ সব নামে নামকরণ করতে সবচেয়ে বেশী ভালবাসেন। পরিসংখ্যানে দেখানো হয় যে, প্রায় ৮,৯২৮ জন ডেনিস মুসলমান তাদের ছেলেদের নাম রেখেছে “মুহাম্মদ”।
২০০৪ সালের ১৬৭ টি বাচ্চার নাম রাসূল (সাঃ) এর নামে নামকরণ করা হয়। এছাড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের নামকরনে রাসূল (সাঃ) এর কণ্যা “ফাতিমা” ও স্ত্রী “আয়েশা”র নাম সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয়।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কের মোট জনসংখ্যার ৫.৩ শতাংশ হচ্ছে মুসলমান। দেশের বৃহত্তম ধর্ম লুথারান প্রোটেস্ট্যান্ট এর পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হচ্ছে মুসলিম স¤প্রদায়। খুব সচেতনভাবেই ডেনমার্কের মুসলিম সম্প্রদায় নিজের পরিচয় সংরক্ষণে মুসলিম নামে বাচ্চাদের নামকরণ করছে।
সামাজিক ও ধর্মীয় কনস্যুলার শেখ মুস্তাফা আল শান্দেদ বলেন, “ডেনিস মুসলমানেরা তাদের ইসলামী পরিচয় সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে বাচ্চাদের নাম এইভাবে রাখছেন। ”
উল্লেখ্য, ডেনমার্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাঙ্গাত্নক কার্টুন বিতর্কের কারণে সে দেশের মুসলমানেরা তাদের বাচ্চাদের ইসলামী নাম বাড়িতে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
তবে শুধুমাত্র ইসলামী নাম রাখলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে গেলনা, মুসলিম সম্পদায় যেন তাদের বাচ্চাদের ইসলামী বিশ্বাসের প্রকৃত শিক্ষা প্রদানে বেশী সচেষ্ট থাকেন, এটাই আমরা কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।