আমি একটু অন্য টাইপের পোলা। ছোটতে আমার সমান কেউ মাইর খান নাই, সিওর।
য়াই হোক, তো মাইরধোরের পর বাসা থেকে পলায়ণ সহজ ব্যাপার ছিল। আবার আব্বা অফিস থেকে আসত ৭টার পরে। এসে সব শুনে রাতের খাবার টাইমে ঘর থেকে প্রায়ই বের করে দিত।
রাত কাটাতাম রাস্তায়। (বিশ্বাস অবিশ্বাস আপনাদের ব্যাপার) (১৯৯২-১৯৯৯) (২০০০ এর পর থেকে কিছু ঘটলে আগেই পালাইতাম )
স্বভাতই বুঝতে পারছেন, সাহসের অভাব নাই। অনাদরে মানুষ যারা, তারা আদরের কতটা কাঙাল, আপনাদের বোঝানোর ক্ষমতা আমার নাই। (নিকটা কিজন্য এমন বুঝতেই পারছেন)
এখন আসি আসল কথায়, তো, ছোট থেকে যেহেতু রাতের বেলা রাস্তায় ঘুরা অভ্যাস (আব্বা অফিস না যাওয়া পর্যন্ত বাসায় ঢুকা অফ ছিল), কই কোনদিন ভূত দেখি নাই। সবচেয়ে মজার হল, রাতের বেলা সেসব জায়গায় যেতাম যেখানে তেনারা (ভূতেরা) থাকে।
বিশ্বাস হয় না? সত্যি যেতাম, এই আশায় যে, আলাদিনের মত কুনো একটা ভূত আমার দুঃখ শুনে আমারে অবাস্তব কিছু ধরাই দিবে।
যদি দিত, তাইলে এতক্ষণ এহানে না বইয়া....
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন যে এসব ভুয়া। এবার আরেকটা ঘটনা বলি। দেশে গেছি। আমার মামা বলল, আজ অমাবস্যার রাত, ৫ কিমি. আপ দূরে একটা শ্বশান আছে, সেখান থেকে যদি মাথার খুলি (মরি পুড়ালেও মাথার খুলি সহ কিছু জিনিস পুড়ে না) আনতে পারি, তবে সেই মাথার দাম ৫০০০/= দিবে
খুশিতে বাকবাকুম করতে করতে শ্বশান ঘাটে গেলাম।
মাগার .... কুনো খুলি পাইলাম না। অবশেষে ফেরৎ আসার পর ভোর হলে নানা জানালো, ওইসব অংশ যা পুড়েনা, তা মাটি চাপা বা নদীতে ফালায় দায়। শ্বশানের পাশেই একটা নদী আছে। এটা ২০০৮ এ ঘটনা যতদুর মনে পড়ে আরকি। সেই রাতে আমি একা গেছিলাম।
রাত ১১ টার পার হওয়ার পরেই গেছিলাম।
তার আগে, আরেকবার গেছি নানাবাড়ি। সেইদিন ছিল কালী পূজার রাত। আমার আরেক মামা (জানায়া রাখি যে আমার সাতটা মামা, আপন মামা) বলল, আজ রাত্রিরে কেউ যদি এক দমে কোন গাছ তুইলা আনতে পারে, তবে সেই গাছ দিয়া বানানো লাঠিকে যা বলা হবে, তাই শুনবে লাঠিটা। গাছটি তুলতে হবে যখন কালী পূজা ডুবাবে।
আমি সেই মতে কাম করছি। কিচ্ছু হয়নাই। উল্টা আম্মার কাছে পেদ্যানি খাইছি এইজন্য যে (গ্রামদেশে) রাতের বেলা ফল, ফুল ছেড়া নিষেধ, আর আমি সেখানে একটা আস্ত গাছ উপড়াই ফালাইছি!!
এইসব নিয়া বুড়া হইলে একখান শৈশব স্বৃতি নামে বই লেখুম ভাবছিলাম, কিন্ত এই ব্লগে ভুত বিষয়ে কিছু পোস্ট দেইখ্যা এখনি আমার ডালির ঢাকনা খুইলা দিলাম।
আসেন, ত্বত্তীয় আলোচনা করি, ভূত কি? - ভূত হইল মানুষের মন। আপনার মনে হইল আপনি কিছু দেখেছেন কিন্তু মন সেটার গ্রহনযোগ্য ব্যাক্ষ্যা পাই নাই, তখন ধরে নেওয়া হয়, এইটা অদৃশ্য কোন হাত করছে, আর সেটাই হইল ভূত।
কখন দেখি? - যখন অন্যমনস্ক থাকি, আর অবচেতন মন তৈরি থাকে অবাস্তব কিছু দেখার জন্য। আপনি স্বষ্ট ভাবে তাকাই আছেন, আর ভূত আইসা আপনারে কইলো, "হাই, তুমারে আমার পছন্দ হইছে, আমার সাথে মিতালি করবা?" কইছে?
কেন দেখি? - কারন মন চাইছে, কিন্তু আপনি জানেন না। আমরা অবচেতন মনকে কন্ট্রোল করতে পারি কইজন? (আমি বেশিরভাগ সময় পারি, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে আমি আমার স্বপ্ন কন্ট্রোল করতে পারি)
তো, বুঝতেই পারছেন, ভুত বলতে আসলে কি আছে! খামোখা ভুত ভুত কইরেন না, এখন আর আপনারা পোলাপাইন না, ব্লগ শুধু পড়তে না, লিখতেও পাড়েন। গল্প লেখার মন চাইলে টাইটেল এ ব্র্যাকেট এ উল্লেখ করে দিবেন আশা করি। বহুত সাধনা করছি, বই ঘাটছি, নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট ও চালাইছি।
ফলাফল হিসেবে আলেকজান্ডারের একটা প্রিয় ঘোড়া ছিল, সেটার আন্ড পাইছি।
আপনারা কি কিছু পাইছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।