বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যেতে পারেনি। সে চেষ্টার খবরও আমাদের গোচরে নেই।
চুপে চাপে যায়। চুপে চাপে হেরে এসে বসে থাকে। আর এখন আদৌও যায় কিনা তাও জানিনা।
এদেশের ফুটবলের এখন যা অবস্থা, তাতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ যেতে পারবে কিনা তারও আরেকটা বাছাই পর্ব সারতে হবে।
যাই হোক, আমার কথা ফুটবল নিয়ে নয়। বিশ্বকাপ নিয়ে। বিশ্বকাপে আমাদের অর্জন নিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপ, মিডিয়ার কারণে আরও ব্যাপক হয়েছে।
প্রতিটি পত্রিকায় প্রতিদিন দুই ততোধিক পৃষ্ঠার বর্ণাঢ্য আয়োজন বিশ্বকাপের সৌন্দর্য, মূল্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের লোকাল বোদ্ধাদের কলম এর ছোঁয়াও। এবং বলতে দ্বিধা নেই আমাদের অর্জন এখানেই।
আমরা আমাদের ফুটবল বোদ্ধাদের চিনে গেছি।
অতীব লজ্জার বিষয়, যাদের কলাম পড়ে প্রতিদিন নানান গণিত করি।
বাইরে গিয়ে তর্কে জড়াই। কারণ, আসলাম ভাই বলছে মানে সে জিতবে...।
সাব্বির ভাই কইছে মানে সে ঘুড়ে দাড়াবেই।
কিন্তু তা আর হয়না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফলাফল উল্টো।
আমি যার সঙ্গে তর্কে জড়াই সে ও দেখা যায় কোনো না কোনো বিখ্যাত খেলোয়ারের কলাম পড়ে আসে।
সেখানে ফল আরো করুণ। কেউ জিতিনা।
খেলা ড্র।
যে কারণে মনে হয়, ভাইয়েরা আন্দাজে একটা বলে দেন।
পত্রিকা অফিস থেকে ফোন, ভাই লেখাটা দিলেন না?
লেখা দেই নাই?
না
কন কি?
তাইলে কাগো দিলাম?
কি জানি?
আচ্ছা সমস্যা নাই। জার্মানীরে জিতাইয়া কলামটা সাজাইয়া দেন। সার্বিয়া তো দূর্বল টিম। ঠিক না?
জ্বি ভাই।
ওকে।
কিন্তু ফল :
সার্বিয়া ১ : জার্মানী ০
খেলা থেকে আমাদের চোখ চলে যাচ্ছে বোধ হয় টাকার দিকেই।
না হলে এত ভুল কোনো?
আমাদের অর্জন, এটাই আমরা আমাদের দৃষ্টি এবং দুরদৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।
আরো অর্জনের খবর, ববিতা, শাবনুর, চম্পাওরাও এখন খেলার কলাম লেখায় মনোনিবেশ করছেন।
ছবি : শাবনুর একই সঙ্গে প্রথম আলো, কালের কন্ঠ ও যুগান্তরের জন্য কলাম লিখছেন। তিনি এত শুকিয়েছেন রাত জেগে খেলা দেখে এবং দিন জেগে লিখে।
আর চুল ছোট করেছেন প্রতিদিন চুল বাধার টাইম পাচ্ছিলেন না। তিন চার খেলা দেখে আবার চুলের টাইম কই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।