http://www.facebook.com/doyougo
ছোটবেলায় আব্বা আম্মার সাথে কোথাও বেড়াতে গেলে যাওয়ার আগে একটা উপদেশের সেশন করিয়ে নিত। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু উপদেশ বাক্য ছিল এরকম: "বড়দের কে সালাম দিবা", "কিছু ধরবf না", "চুপচাপ থাকবা", "কিছু জিজ্ঞাস করলে সুন্দর করে উত্তর দিবা", "নাস্তা দিলে বড়রা না খাওয়া পর্যন্ত খাবা না" এবং সর্বশেষে "যা কিছু দিবে একটার বেশী খাবে না"
আমি তখন উপদেশ গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতাম। সেই সময়কালেই একদিন একজনের বাসায় বেড়াতে যাব বলে ঠিক হলো। যথারিত আগের মতই উপদেশ সেশন শুরু হলো। তবে এইবার সাথে ছিল আমার সমবয়সী এক চাচাত ভাই সে আবার এইসব উপদেশের ধার ধারে না, কোথাও গেলে এটা ধরবে ওটা ধরবে, নিজেরটাতো খাবেই আরেকজনেরটাও খাবে ।
তাই ঐ দিন যাওয়ার আগে আমাদের কে উপদেশ হিসাবে আরেকট নতুন এক্সট্রা লেসন দেওয়া হলো। আমাকে আর আমার চাচত ভাইকে বলা হলো যেই বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি ওরা হিন্দু আর ওখানে বেশি কিছু খেতে নাই, বেশী খেলে আমরাও হিন্দু হয়ে যাব-/। এই কথা শুনার পর আমি যতটুকু ভদ্র ছিলাম তারচেয়ে অনেক বেশী ভদ্র হয়ে গেলাম। যাই হোক নির্দিষ্ট সময়ে রওনা দিলাম। বাসায় ঢুকার ঠিক আগে আগে জানি না কি হলো আমি আমর চোখ বন্ধ করে ঐ বাসায় ঢুকলাম এবং চোখ বন্ধ করেই বসে থাকলাম।
আম্মা এবং অন্যান্যরা বেপারটা লক্ষ্য করার পর আমকে বললো চোখ বন্ধ করে আছি কেন? আমি কইলাম ওরা হিন্দু তাই চোখ খুলব না! নাস্তা আনল কিন্তু আমি কিছুতেই তা মুখে দেই না আর চোখও খুলি না অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলো যে তারা হিন্দু না মিথ্যা বলছে যাতে দুষ্টামি না করি। কিন্তু আমি আর কিছুতেই চোখ খুলি না! শেষে বাধ্য হয়ে দ্রুত কথা শেষ করে আমাকে নিয়ে বাসায় রওনা দিল আর আমিও ঐ বাসা ত্যাগ করার সাথে সাথে চোখ খুললাম
তবে এই ঘটনার পরে আমার চাচাত ভাই তার মাকে মানে আমার চাচী কে যেয়ে বিচার দিলো সে নাকি আমার জন্য কিছু খাইতে পারে নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।