বড় লোকে করলে হয় লীলা, মধ্যবিত্তে করলে হয় প্রেম, আর ছোট লোকে করলে হয় ফস্টি নস্টি- এক কথাটা প্রায়ই ক্লাসে বলতেন আমাদের এক স্যার। প্রসঙ্গ বাংলাদেশের রাজনীতি।
এখনকার রাজনীতি দেখলে স্যারের কথা না মনে করে উপায় নেই।
কারণ-০১
ক. জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ম অবমাননার মামলায়। তারা সীরাতন্নবি সা. উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বলেছেন, রাসুল সা. এর জমানায় যেমন রাসুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঠিক তেমনি বর্তমান যুগেও নিজামী মুজাহিদসহ জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
এর মাধ্যমে তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। যদিও নিজামী, মুজাহিদ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
আমরা দেখতে পাই, এখানে রাসুলের সঙ্গে নিজামী মুজাহিদকে তুলনা করা হয়েছে।
ফলাফল : তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে , গ্রেফতার হয়েছেন
খ. ২০১০ সালের ২০ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঈদে মীলাদুন্নবী স. উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর আল্লাহ আমাদের বিচার করতে পারলে আমরা এখন এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে পারব না কেন?
এক্ষেত্রে দেখা যায় তিনি নিজেদরেকে আল্লাহর সঙ্গে তুলনা করছেন।
ফলাফল : তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
করতে গেলেও তা আমলে নেননি আদালত।
গ. ১৬ এপ্রিল ২০১০। ভোলায় জাতীয় সংসদের একটি আসনে উপনির্বাচনের সময় বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা এবং দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সেনা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিবিসিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেন- সেনাবাহিনী কেন খোদ আল্লাহ তায়ালা নেমে এলেও কিছু করতে পারবেন না।
এখানে দেখা যাচ্ছে তিনি সুস্পষ্ট শিরক করেছেন ও মুসলমানসহ সকল ধর্মবিশ্বাসীদের অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছেন।
ফলাফল : তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।
উল্লিখিত, তিনটি ঘটনায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, জামায়াত নেতাদের বক্তব্যে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। অর্থাৎ তারা ফস্টিনস্টিতে মেতে উঠেছেন।
অন্যদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী ও সিইসির বক্তব্য কথার কথা মাত্র। অর্থাৎ তারা লীলা করেছেন মাত্র।
০২. জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করে একেরপর এক মামলা তৈরি করে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।
এতে বিভিন্ন জায়গায় দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছে। যাকে পুলিশ কর্মকর্তারা 'বিশৃঙ্খলা' আখ্যা দিয়ে কঠোর হাতে দমন করার কথা বলেন।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা খুঁজে পান পুলিশ কর্মকর্তারা। ফলে এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নিস্ক্রিয়।
এক্ষেত্রেও আমরা ফস্টিনস্টি ও প্রেমলীলা দেখতে পাই।
যুক্তিহীন মূর্খদের মাইনাস দেয়ার আমন্ত্রণ রইল।
লেখাটি পড়ার জন্য শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।