রাত এগারোটা....
ঘরের মেঝেতে বিছানা পেতে শুয়ে আছি।
ডিম লাইটের আধো আধো আলো
পাশে আমার হাতে মাথা রেখে
ছয বছরের মেয়ে শুয়ে আছে চুপটি করে।
গুনগুন করে বারী সিদ্দিকির জিন্দা লাশ
গানটি গাইছিলাম। গানের এক জায়গায়
মরার পরে আমায় পুঁড়িস না- শেষ হতেনা হতেই
মেয়ের কান্না শুনতে পেলাম। ঠিক বুঝতে পারলাম না
কান্নার কারণ কি? কটমট করে তাকালাম খাটে শুয়ে থাকা
মেয়ের মায়ের দিকে।
সে আশ্বস্ত করলো কারণ সে নয়।
তবে....????
মেয়ের কাছে জানতে চেয়েও বেশ কিছুক্ষণ উত্তর নেই।
কেবল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না। অবশেষে শিশু কণ্ঠে অস্থিরতা...
বাবা তুমি মরে গেলে আমার কি হবে?
অনেক ক্ষণ কোন কথা বলতে পারলাম না।
মেয়েকে কাছে টেনে নিলাম।
বুকের আরো গভীরে।
মিথ্যা অজুহাতে তার কান্না থামলেও
আমার ভেতরে কান্নার খরস্রোতা নদী।
আমার মেয়ে ..আমার একমাত্র উত্তরসূরী
আমার মৃত্যুর পরে তার কী হবে
তা বলতে পারিনা। এমন প্রশ্নের কোন উত্তর কি আছে?
নিজেকে ধিক্কার দিলাম...
ধিক্কার তোরে হে জন্মতিথী
এমন বেহুদা জন্মের মানে কী?
০১/০৭/২০১০
প্রজাপাড়া-পীরগঞ্জ-রংপুর
সকাল ১০টা৩০ মিনিট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।