যেখানে বাঁধ সেখানেই বিপর্যয়। তাই বাঁধ মুক্ত জীবনের জন্য চাই বাঁধ মুক্ত পৃথিবী
তুই কততে বিক্রি হলি? শব্দগুলো কানে যথেষ্ট খচখচ করে বিধল। অনেক দিন এমন শব্দগুচ্ছ না শোনার কারণে যতটা অবাক হবার কথা তার চেয়ে হয়তো বেশিই অবাক হলাম। কিছুটা ধাতস্ত হবার পর বোঝার চেষ্টা করলাম বিষয়টা আসলে কি?
পাঠক আসুন তার আগে জেনে নেই এ ঘটনার ক্ষেত্র হচ্ছে আমার স্কুল-কলেজের বন্ধুদের আড্ডাস্থল যাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে সরকারী/বেসরকারী স্কুল/কলেজের শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের একজনের কাছে এক আগন্তকের ওমন তীর্যক প্রশ্ন।
উত্তরও জানা গেল পরপরই ৪০ পারসেন্ট।
যাই হোক আসুন এবার আমরা ভেতরের বিষয়টি জেনে নেই- বেশ কিছু দিন হল স্কুল-কলেজের গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বই এর দোকানে সেই নিষিদ্ধ গাইড বই আগের মত আর প্রকাশ্যে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় সেই নিষিদ্ধ গাইড বই প্রকাশকারী অনেক কোম্পানিই সেলস এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগকৃত এজেন্টেদের কাজ হচ্ছে স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের মাধ্যমে সেই নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রির ব্যবস্থা করা।
যতগুলো বই শিক্ষকরা তার ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন তার তত লাভ এবং তা নির্ধারিত হয় কমিশনের ভিত্তিতে। সব শিক্ষক সমান কমিশন পান না। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হলেও যিনি যত বেশী নৈতিক আপত্তি প্রকাশ করতে পারেন এবং যার হাতে যত ছাত্র-ছাত্রী বেশীই তিনি তত বেশী কমিশন প্রাপ্ত হন। তবুও মুক্তবাজার বলে একটা কথা বর্তমানে প্রচলিত। তাই সম্মানিত শিক্ষকগণ সবসময় খোঁজ রাখেন বাজারদরের।
তারই সূত্র ধরে এক শিক্ষকের কাছে আর এক শিক্ষকের প্রশ্ন "তুই কততে বিক্রি হলি?"
এই প্রশ্ন থেকে আমার অনুমান এই বিষয়টির বৈধতা বা নৈতিকতার বিষয়টি তারাও ভালভাবেই অনুধাবন করেন বৈ কি! নতুবা কেন এমন প্রশ্ন- "তুই কততে বিক্রি হলি?"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।