আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার ব্লগখানি কৌতুহল ভরে www.irfanmahmud.tk ইন্টারনেটর গতি নির্নায়ক একটি সংস্থার প্রধান- দাওয়াত খেতে বসেছেন। তার পাশে তার স্ত্রী । প্লেটে অনেক ধরনের খাবার। বিশেষ করে মাটন বিরিয়ানিটার রঙ খুব ভালো হয়েছে।
সুন্দর গন্ধ ছড়াচ্ছে।
তিনি আড়চোখে তাকালেন তার স্ত্রীর দিকে। স্ত্রী টিস্যু দিয়ে কাঁচের গ্লাস মুছছেন।
তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। সামান্য যে মাটন বিরিয়ানি খাবেন এইটাও তার স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে খেতে হবে? এক চামুচ মাটন বিরিয়ানি মুখ দিয়ে কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকবেন, এই সামান্য জিনিষটার জন্যও তাকে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে ? কোনো মানে হয় এই জীবনের ? কোন মানেই হয় না।
যে তিনি সারাদেশের ইন্টারনেটের গতি নির্নয় করেন, তার গতি কিনা নির্নয় করেন তার স্ত্রী? এইটা নিয়ে তিনি সামান্য লজ্জ্বায় ভুগেন।
কিন্তু তিনি জানেন তার স্ত্রী ভালোই বুদ্ধিমতি। সে যা করে ভালোর জন্যই করে। এই যে তিনি এতো বড় একটা জায়গায় আছেন সেটি তার স্ত্রীর বিচক্ষনতার জন্যই।
তিনি মিন মিন করে বললেন- আচ্ছা, একটা মিষ্টি কী খেয়ে পারি ?
তার স্ত্রী ভয়ঙ্কর কন্ঠে বললেন- সাবধান, কোনো মিষ্টি আপলোড (upload) করবা না ! তোমার সুগার লেভেল আবার বেড়ে যাবে !
তিনি মনের দুঃখে আবারো এক গ্লাস পানি খেলেন। পুরো একটি বিয়ের দাওয়াত তিনি কিছু সালাদ আর গ্যালান গ্যালন পানি খেয়ে কাটিয়ে দিলেন।
এই কাজ করে তিনি পড়েছেন বিপদে। এমনিতে তার ডায়বেটিস। তার ঊপর খেয়েছেন গেলাস ভরে পানি । এখন মুত্র ত্যাগের প্রবল বাসনা তিনি কোনোভাবেই চেপে রাখতে পারলেন না।
তিনি ক্রুদ্ধ কন্ঠে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন- আমি ডাউনলোড (download) করতে গেলাম।
এই বলে তিনি বাথরুমের দিকে হাঁটা দিলেন। তার স্ত্রী মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন।
তিনি সকালে অফিসে গিয়ে দেশের ইন্টারনেট ডাঊনলোড গতি ঠিক রেখে আপলোড গতি কমিয়ে দিলেন
ফেবুতে আমি। লিঙ্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।