একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
বিখ্যাত সেন্সলেস মাথাওয়ালার পর পর তিনটি বাংলা ছবির নামকরনই করা হয়েছিলো ইংরেজীতে। ছবির নাম দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা বাংলা ছবি নাকি ইংরেজী ছবি।
১. ব্যাচেলর(Bachelor)
২. মেইড ইন বাংলাদেশ(Made In Bangladesh)
৩. থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার(Third Person Singular Number)
বাংলা ছবির ইংরেজী নামকরনের স্রষ্টা হয়তো তিনি নন, কিন্তু তিনিই একটা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন এবং হয়তো তার দ্বারা অথবা তার ছবির নামকরনের দ্বারাই অনেকেই বাংলা ছবির ইংরেজী নামকরনে অনুপ্রানীত হবেন।
আসলে ইংরেজী নামকরনটা কি কোনো সমস্যার মধ্যে পড়ে? এই প্রশ্নটা আসলে দ্বিমত তৈরী করতে পারে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে ইংরেজী নামকরনটাকে সমর্থন করিনা। এখন থেকেই যদি বাংলা ছবির ইংরেজী নামকরনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তবে হয়তো পরবর্তীতে বেশ কিছু অথবা বেশীরভাগ ছবির নামকরনই ইংরেজীতে দেখা যাবে (যদি ফারুকীর মতো আরও কিছু ব্যাবসায়ী চলচিত্র অথবা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিতে পারে)।
এরকম আরও কয়েকটি ছবির নামঃ
১. দ্যা ডিরেক্টর (The Director)
২. দ্যা লাষ্ট ঠাকুর(The Last Thakur)
৩. পিকনিক(Picnic)
বাংলা চলচিত্র প্রথমে বাঙালীর জন্য, তারপর অন্যান্যদের জন্য। কোনো পরিচালক/প্রযোজক যদি মনে করেন তার ছবিটির গ্রহনযোগ্যতা সারা বিশ্বে ছড়িতে দিতে চান তবে তিনি ইংরেজীকে কেনো প্রাধান্য দিবেন? তিনি যদি বাংলাকেই প্রাধান্য দেন তাহলে বর্হিবিশ্ব ঐ বাংলা ছবির বাংলা নামকরনের মাধ্যমেই একটা হলেও বাংলা শব্দ শিখবে। সুতরাং বাংলা ভাষাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।