সাধারন মানুষ
বান্দরবানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিতৃহীন এক শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে এক শিক্ষক। নির্যাতনের পরে শিশুটিকে ৩ দিন আটকে রাখা হয়। এখন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম ইয়াসমিন আক্তার মুক্তা (৯)। আর পাষণ্ড শিক্ষকের নাম আবদুর রহিম।
মঙ্গলবার রাতে শিশুটি পালিয়ে এসে তার অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গুরুতর আহত শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইয়াসমিনের কাছ থেকে জানা গেছে, ওই শিক্ষাকেন্দ্রের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মর্জিনা আক্তারের সাথে শহিদ উদ্দিন নামের একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার সকালে মর্জিনা ইয়াসমিনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বাইরে অপেক্ষারত শহিদের কাছ থেকে একটি মোবাইল এনে দিতে বলে। তার কথা মতো ইয়াসমিন মোবাইলটি এনে দেয়।
এ বিষয়টি দেখে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক আবদুর রহিম। মর্জিনা ও শহিদ পালিয়ে গেলেও নির্যাতন জোটে ইয়াসমিনের কপালে।
ইয়াসমিনের মা শাহীনা আক্তার জানিয়েছেন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পিতৃহীন কন্যা ইয়াসমিনকে ইসলামী কেন্দ্রে ভর্তি করান তিনি। চলতি বছর ইয়াসমিন ক্লাস ওয়ানে ওঠে। গত শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আবদুর রহিম একটি কক্ষে দরজা জানালা বন্ধ করে ৩টি বেত একত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে মারধর করে।
এ সময় তাকে উপরে তুলে আছাড়ও মারে ওই শিক্ষক। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংস খসে পড়ে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই কক্ষে ইয়াসমিনকে ৩ দিন আটকে রাখা হয়।
পুলিশ সুপার কামরুল আহসান মঙ্গলবার রাতে আহত ইয়াসমিনকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা পশুত্বকেও হার মানিয়েছে।
অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিদেশি টাকায় পরিচালিত ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক আবুল কালাম বলেছেন, মঙ্গলবার আমরা ঘটনাটির বিষয়ে অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে আবদুর রহিম পলাতক রয়েছেন। তার মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম):
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।