আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী মন্ত্র আওয়ামী সরকারের হাতিয়ার.....................



স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ এর মইন-ফখরুদ্দীন অসাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণ এক কলংঙ্কজনক অধ্যায়। এই উপমহাদেশে বৃটিশ ও পাকিস্তানী সামরিক জান্তা র্নিযাতন-নিপীড়ন-শোষণ এর মতোই ছিল মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণের এ কলংঙ্ক অধ্যায়। দূর্নীতি দমনের নামে রাঘব-বোয়াল ধরার নামে অস্থির ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার করে নিয়মিতভাবে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে চরম ফ্যাসিবাদী বহিঃপ্রকাশ করেছিল। বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রকাশনায় নানা শর্ত এবং চ্যানেলের অনৃষ্ঠান মালায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছিল দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতার অজুহাতে। এমনকি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত টকশো অনুষ্ঠানগুলো প্রচারের পূর্বে ঐ অসাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী শাসকদের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

পরিশেষে দূর্নীতি দমনের নামে দেশে মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী শাসকগণ টাল-গোল পাকিয়ে এমন অরাজকরতা তৈরি করলেন যে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। অপরদিকে ব্যক্তি বিশেষকে আটক করে আটককৃত ব্যক্তিদের দিয়ে বানোয়াট মামলা সাঁজিয়ে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল এবং সাবেক দুইজন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাছিনাকে গ্রেফতার করে সারা দেশে হৈ চৈ ফেলে দেয়। অবশেষে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে অবসান ঘটে মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণের কলংঙ্কজনক অধ্যায়ের। দেশের জনগণ নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার পেয়ে আশান্বিত হয়ে উঠে। "দিন বদলের সনদ" অঙ্গীকার নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

কালক্রমে বর্তমান আওয়ামী সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম নীতিতে ক্রমঃশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে মইন-ফখরুদ্দীন আমলের ফ্যাসিবাদী চরিত্র। আওয়ামী লীগের শাসনকাল যেন মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রথম অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। র্বতমান সরকারের শাসনকাল ইতিমধ্যে বাকশাল-বাকশাল রূপে রূপান্তরিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী আমলের মন্ত্র হুবুহু অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার। মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী চরিত্র যেমন উস্কানির অভিযোগে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুমতি না প্রদান, সংবাদপত্রের প্রকাশনায় নানাবিধ শর্তবলী এবং চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালা বিধিনিষেধ আরোপ করে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছিল তদ্রুপ র্বতমান সরকারও বিরোধীদলগুলোর সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না কিংবা বিরোধী দলের সমাবেশ স্থলে সরকারী দলে অঙ্গ-সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ আহবান করছে।

ফলে প্রশাসন বাধ্য হয়ে উক্ত স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করছে। যারা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের সমালোচনা করছে তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সরকারের সংসদ-মন্ত্রী-যুবলীগ-ছাত্রলীগের কুর্কীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় উক্ত প্রচার মাধ্যমকে বন্ধ করে দিচ্ছে। চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত লাইভ অনুষ্ঠানমালাগুলো বন্ধ কিংবা সরকারের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক চ্যানেল ওয়ান, যমুনা টেলিভিশন এবং "দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাটি বন্ধে সরকার সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে। যা আওয়ামী লীগের অতীত বাকশাল আমলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী চরিত্র যেরূপ ব্যক্তি বিশেষকে আটক করে আটককৃতদের দিয়ে মিথ্যা মামলায় দায়ের করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল তদ্রুপ বর্তমান সরকারও ব্যক্তি বিশেষকে আটক করে নানা ভয়-ভীতি মাধ্যমে আটককৃত ব্যক্তির দ্বারা থানায় মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে সরকার বিরোধীদের। ভিন্নমত দমনে বর্তমান সরকারের এই চরিত্রে মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মন্ত্রের সন্ধান মেলে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ "দৈনিক আমার দেশ" পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে গ্রেফতার পরবর্তীতে রিমান্ডে নির্যাতন চালানোর জন্য সরকার প্রকাশক হাসমত আলীকে আটক করে তার দ্বারা সাজাঁনো মামলা দায়ের করার পক্রিয়াটি।

সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩০ টির অধিক মামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও এক মামলার বাদি। নানাবিধ মামলা দিয়ে মাহমুদুর রহমানকে সরকার জব্দ করতে না পেরে অবশেষে মইন-ফখরুদ্দীন ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মন্ত্রই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ২০০-০৮ সালের ফ্যাসিস্ট অধ্যায়ের সকল নীতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।